কিছু ‘বড় ভাইয়ের’ ইন্ধনে পল্লবীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এই হামলাকে পরিকল্পিত দাবি করে ডিবি জানায়, পুলিশের মনোবল ভাঙা ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ হামলায় চালানো হয়।
হামলায় জড়িত অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ, মো. আক্তার, শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মাসুদ রানা ও সামস।
শনিবার মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ একজন বয়স্ক ও পঙ্গু ব্যাটারিচালিত রিকশাচালককে মারধর করার অপপ্রচারে হামলা করা হয়। পরে অবৈধ রিকশার মালিক, চালক ও মোটর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা উত্তেজনা ছড়িয়ে হামলায় ইন্ধন দেয়।’
হারুন বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ‘বড় ভাইয়ের’ ইন্ধনে হামলায় অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এটা করা হয়েছে হলে জানান ডিবিপ্রধান।
তবে সেই ‘বড় ভাইয়েরা’ কোনো রাজনৈতিক দলের কি না এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান হারুন।
হামলা ও উসকানিতে জড়িত অনেকেই ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করেছে। কারও কারও নাম পাওয়া গেছে, সেটা ধরে তদন্ত চলছে।
হারুন বলেন, ‘যারা পুলিশের মনোবল নষ্ট করতে চায়, হামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।
এদিকে ৫ পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর এবং দুই ট্রাফিক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পল্লবী থানায় শুক্রবার রাতেই মামলা হয়েছে।
থানা-পুলিশ ওই এলাকা থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন পুলিশের আওতায় এসেছে বলে জানানো হয় বিফ্রিংয়ে।