বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই পক্ষের হাতাহাতি, বিএনপির সভা পণ্ড

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:১৫

হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার জানান, কিছুটা বিশৃঙ্খলা হওয়ায় সভা স্থগিত করা হয়েছে।

বরিশাল নগরীতে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে হিজলা উপজেলা বিএনপির কর্মিসভা পণ্ড হয়ে গেছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর রোডে কীর্তনখোলা মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে।

আগামমী ৫ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে হিজলা উপজেলা বিএনপি এই কর্মিসভা ডেকেছিল।

সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু। তারা সভাস্থলে পৌঁছার আগেই নেতাকর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির হয়।

হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার জানান, কিছুটা বিশৃঙ্খলা হওয়ায় সভা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সজল বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতা দাবি করা দেওয়ান মনিরের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা কেউ সভার ডেলিগেট নন। দেওয়ান মনির উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সই জাল করে তাদের ডেলিগেট কার্ড দিয়ে সভায় নিয়ে আসেন।

‘তখন অন্য নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল সভামঞ্চে ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সভা স্থগিত করা হয়।’

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় দেওয়ান মনিরকে অনেক বছর আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি নিজেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাবি করে আসছেন।’

হিজলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম রাজু বলেন, ‘উপজেলা বিএনপি ১২০টি ডেলিগেট কার্ড দিয়েছিল। তবে হিজলা বিএনপির ৩৮ নম্বর সদস্য দেওয়ান মনির ৭০ জনকে জাল সই দিয়ে ডেলিগেট কার্ড প্রদান করেন। তার কারণে সভায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে।’

সই জাল করে অনুসারীদের ডেলিগেট কার্ড দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিএনপি নেতা দেওয়ান মনির।

তিনি জানান, তিনি একাই সভাকক্ষে ঢোকেন। তার সঙ্গে কেউ ছিল না। তবে অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী নিজ উদ্যোগে সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তাকে বহিষ্কার করার তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন মনির।

উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নির্ধারিত ডেলিগেটের বাইরে অনেক নেতাকর্মী প্রবেশ করায় কর্মিসভায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ কারণে সভা স্থগিত করা হয়েছে। পরে সভার নতুন তারিখ জানানো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর