ময়মনসিংহে শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে। এতে টার্মিনালে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুরের যাত্রীরা।
অনেক যাত্রী ফিরে গেছেন কাউন্টার থেকে। বিকেলে বাস ছাড়ার আশায় টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন অনেকে।
বাসমালিকরা বলছেন, কয়েকটি বাস সকালে চলার চেষ্টা করলে গাজীপুরের জয়দেবপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশালে ভাঙচুর চালিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এ কারণে বাস বন্ধ রয়েছে।
কী বলছেন যাত্রীরা
বিনা নোটিশে বাস বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেত্রকোণার বাসিন্দা আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘১২টার বাসে নেত্রকোণা যাব বলে আজিমপুর থেকে এসেছি। কেউ কিছু বলছে না; শুধু বলে বাস বন্ধ।
‘আজকে বাস বন্ধ থাকবে, তা আগে জানাইলেই হতো। কষ্ট করে আসতাম না। এখন আবার ফিরে যেতে হবে।’
মহাখালী টার্মিনালে ৫০টির বেশি কাউন্টার রয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুরগামী বাসের। কম বেশি প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। বিকেলে গাড়ি ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে। সেই আশায় বসে আছেন তারা।
রাজিয়া নামের এক নারী অপেক্ষা করছিলেন ময়মনসিংহগামী এনা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে। বেলা ১টার দিকে তিনি বলেন, ‘দুই ঘণ্টা হলো আমি এখানে আসছি। কাউন্টারে কোনো লোক নাই। ওদের নাম্বারগুলোতে কল করেও কাউকে পাচ্ছি না।
‘প্রথমে একজন এসে বলল, দুপুর ২টার পর গাড়ি ছাড়বে। কিছুক্ষণ আগে একজন এসে বলল বিকেলে ছাড়বে। আজকে যেতেই হবে। আগামীকাল অফিস আছে। সাধারণ মানুষকে এমন ভোগান্তিতে না ফেললেও পারত।’
শাহজালাল কাউন্টারের সামনে পরিবহনটির একজন চালকের সঙ্গে কথা হয়। তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুটি পরিবহনের চালক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহজালালের চালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুঝেন না কেন বন্ধ করছে? ময়মেনসিং বিএনপির মিটিং আছে আজকে। কালকে রাতেই মালিক না কইরা দিছে। আজকে আমাদের কোনো গাড়ি বের হয় নাই।’
একই কথা জানান অপর দুই চালক।
বাস বন্ধ রাখার নির্দেশনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ওমরাহ থেকে এসেছি। বাস বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনার কথা জানি না। সকালে এসে শুনলাম ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কিছু বাসে জয়দেবপুরসহ অন্যান্য জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যে কারণে বন্ধ রয়েছে।’