ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। বাধ্য হয়েই তাই সড়কপথে হেঁটে ও নদীপথে নৌকায় করে এতে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট মাঠে হতে যাওয়া এই সমাবেশের আগে সকাল থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী এভাবে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।
সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও ব্রক্ষপুত্র নদ পার হয়ে শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশে এসেছেন।
নেতা-কর্মীদের কয়েকজন জানান, শুক্রবার দুপুর থেকেই তারা বাসে সমাবেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বিকেলে গণপরিবহন বন্ধের খবর জানতে পেরে নৌকায় আসার প্রস্তুতি নেন। পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী তারা নদী পাড়ি দিয়েই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সমাবেশে লোকসমাগম কম করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নানাভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। রাতে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। তারা চান গণ্ডগোল সৃষ্টি হোক।’
বাবলু বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ করে চেষ্টা করা হয়েছে সমাবেশে নেতা-কর্মীর সংখ্যা কমে যাক। কিন্তু বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলকে ভালোবেসে পায়ে হেঁটে, নদীপথে ট্রলার ও নৌকাযোগে এসেছেন।’
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপিকর্মীদের মৃত্যু, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ২টায় ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
এই সমাবেশ উপলক্ষে নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে ৬ অক্টোবর প্রশাসনের অনুমতি চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করার অধিকার আমাদের রয়েছে। আর মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।’
পরে নির্ধারিত স্থানে প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট মাঠে গণসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
বিএনপির ওই সমাবেশ ঘিরে শুক্রবার রাত থেকে জেলার ভেতর ও জেলা থেকে বাইরে পরিবহন যাওয়া-আসা বন্ধ আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
মোটরযান মালিক ও বাস মালিক সমিতি নিরাপত্তার শঙ্কায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা জানালেও বিএনপির নেতারা বলছেন, তাদের কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতেই সরকারের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, এতে তাদের হাত নেই।