দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল ছাত্রলীগের কর্মীরা।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তানভীর সিকদারকে সভাপতি ও মিশাত সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে এ শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
শুক্রবার রাতে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এ কমিটির অনুমোদন দেন।
এ বিষয়ে এস এম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার বলেন, ‘আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম কর্মীদের হল কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ৬ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয়া হয়। ২৬০ পদপ্রত্যাশী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন, তবে কমিটি গঠন করা হয় ১৬১ সদস্যকে নিয়ে।
বাকিদের বাদ কেন জানতে চাইলে তানভীর বলেন, ‘সবাই কম-বেশি যোগ্য। সবারই পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, কিন্তু আমাদেরও কিছু গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা আছে। ইচ্ছা সত্ত্বেও অনেককে রাখতে পারি নাই।’
১৬১ সদস্যের কমিটিতে ৩৭ সহসভাপতি, ১১ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ সাংগঠনিক সম্পাদক, ৩০ সম্পাদক, ৩৪ উপসম্পাদক, ২০ সহসম্পাদক এবং ১৬ সদস্য রয়েছেন।
কমিটিতে ১ নম্বর সহসভাপতি হয়েছেন আহসান উল্লাহ, ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সারোয়ার হোসেন। ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন নাজমুস সাকিব।
কী বিবেচনায় কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর বলেন, ‘পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড যাদের আওয়ামীপন্থি, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং এই বিষয়টা আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আর দীর্ঘ কয়েক বছর হল ছাত্রলীগের কমিটি হয়নি। এই দীর্ঘ সময় অনেকে ছাত্রলীগের প্রতি সর্বোচ্চ ডেডিকেশন দেখিয়েছে।
‘অনেকের শ্রম-ঘাম রাজপথে মিশে আছে। যাদের পদ না দিলে ত্যাগীদের প্রতি অবমাননা করা হবে, তাদেরই আমরা মূল্যায়নের চেষ্টা করেছি।’
পদপ্রাপ্তদের কাছে প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে তানভীর বলেন, ‘আমাদের সামনে জাতীয় নির্বাচন। এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ সাম্প্রদায়িক এবং মৌলবাদী শক্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশের স্থিতিশীল পরিবেশকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে।
‘পদপ্রাপ্তদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন বাস্তবায়নে তারা সাহসী ভূমিকা রাখবে। এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো নৈরাজ্যবাদী শক্তি বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সেই ব্যাপারগুলো শক্ত হাতে মোকাবিলা করব। দেশরত্নের হাতকে শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিতে সলিমুল্লাহ হল ছাত্রলীগ সাহসী ভূমিকা রাখবে।’