হলের বাথরুম নিয়ে তর্কের জেরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ভাঙচুরও করা হয়েছে হলের কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের তিন ছাত্র নিউজবাংলাকে জানায়, দুপুরে হলের চতুর্থ তলার বাথরুমে গোসলে যান শাবি ছাত্রলীগের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহ গ্রুপের অনুসারী মুসলিম ভূঁইয়া।
এ সময় সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী শিমুল মিয়াও ওই বাথরুম ব্যবহার করতে যান। বাইরে থেকে তিনি মুসলিমকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। মুসলিম বের হয়ে এলে তাদের দুজনের মধ্যে এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয়।
ওই ছাত্ররা জানায়, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর দুজনের অনুসারীরাও সেখানে মারামারি শুরু করে। তারা আশপাশের কক্ষে ভাঙচুরও চালায়। লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউনও করে। সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য হলের ৪০৯ নম্বর কক্ষে আলোচনায় বসে দুই পক্ষের নেতারা।
এ বিষয়ে এক গ্রুপের নেতা সজিবুর রহমান বলেন, ‘বাথরুম ব্যবহার করা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। শিমুল মিয়া সৈয়দ মুজতবা আলী হলে থাকবেন, মুসলিম ভূঁইয়াকে বঙ্গবন্ধু হলে বা মেসে চলে যেতে বলেছি।’
আরেক গ্রুপের নেতা মামুন শাহ বলেন, ‘ছোট একটা বিষয় একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা সমাধান করে দিয়েছি।’
মীমাংসার বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট মো. আবু সাঈদ আরেফিন খান বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে কোনো সমস্যা তৈরি না করতে।’