লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের এক এসআইসহ ছাত্রলীগ ও বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিয়ে হাতীবান্ধার তেলের পাম্প এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে আলোচনা সভা শেষে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান নেতা-কর্মীদের নিয়ে হাতীবান্ধা মেডিক্যাল মোড় এলাকায় যাচ্ছিলেন।
এ সময় সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের বাধার মুখে তারা পিছু হটেন। একপর্যায়ে পেছন থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ধাওয়া করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কে অবস্থান নেন।
পরে সেখানেও বাধার মুখে ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনেকটা বাধ্য হয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। যদিও মুহূর্তের মধ্যেই পুরো চিত্র পাল্টে যায় ওই এলাকার।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়ান ছাত্রলীগ কর্মীদের দিকে। এতে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ধাওয়া খেয়ে পিছু হটেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম জানান, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে পুলিশের একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া দুই পক্ষের অন্তত পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান ওসি।