রাজধানীতে সন্ধ্যায় বন্ধুসমেত হাঁটছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ করে এসে এক দল মানুষ এসে অভিযোগ করে, তাদের এক ভাইকে মেরে তিনি নাকি মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন।
কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সেই ব্যক্তি যখন এর কিছুই জানেন না বলেন, তখন ‘আয় ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি’ বলে তাকে নিরিবিলি স্থানে নিয়ে ছিনতাইয়ের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুরে। সায়মন নামে এক ব্যক্তিতে এভাবে অকারণ অভিযোগ তুলে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দুই মাস আগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতে রাজধানীতে আসেন।
তাকে হত্যার অভিযোগে মো. ইউসুফ ও ইকবাল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আরও সঙ্গীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বরের কাযালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনারের জসীম উদ্দীন মোল্লা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সায়মন ঢাকায় চাচার সঙ্গে থাকতেন। মিরপুরের একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। প্রথম মাসের বেতনের টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে সনি সিনেমা হলের এলাকায় এসেছিলেন।
সায়মনের বন্ধু সঙ্গে ছিলেন রাব্বি ও হৃদয়। বেতনের ১০ হাজার টাকার মধ্যে ২ হাজার টাকা খরচও করেছিল। একটি প্যান্টও কিনে ছিলেন।
১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে ভুক্তভোগী সায়মন ও রাব্বি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।
ছিনতাইকারীরা তাদের দুজনকে বলেন, সায়মন নাকি তাদের বড় ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি অস্বীকার করার পর ছবি মিলিয়ে দেখার কথা বলে রিকশায় করে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় নিয়ে যায় সায়মন ও হৃদয়কে।
সেখানে সায়মনের মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পর তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত বুধবার ভুক্তভোগীর বাবা শাহজাহান শেখ দারুস সালাম থানা মামলা করেন। পর দিন মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।