বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিমন্ত্রী-মেয়র-হুইপ-এমপিদের আচরণবিধি মানতে চিঠি

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:০৪

নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

খুলনায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি মানতে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭ জনকে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।

গত ১১ অক্টোবর পাঠানো ওই চিঠিতে নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র-৫ অবগত ও প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান।

গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে একটি সভায় হয়। সেখানে সিটি মেয়র প্রধান অতিথি এবং খুলনার ৬ জন সংসদ সদস্য বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান।

এ বিষয়ে গত ৬ ও ১০ অক্টোবর খুলনার মেয়রসহ সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা ও ডা. শেখ বাহারুল আলম। পরদিন ১১ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা পরিপত্র প্রতিপালনের বিষয়ে মেয়র ও সাংসদের কাছে চিঠি পাঠান।

চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে।’

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে একটি পরিপত্র দেয়া হয়েছে। সেখানে কিছু নির্দেশনা আছে, আমরা নির্দেশনার বিষয়টি মেয়র, সংসদ সদস্যদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’

জেলা পরিষদ (নির্বাচন আচারণ) বিধিমালার ২২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে তিনি যদি ভোটার হন, তবে শুধু ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন। এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, হুইপ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, মেয়র বা তাদের সমমর্যাদার ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে।

ওই ধারায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের তিন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, আনারস প্রতীকে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বিএমএর সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং চশমা প্রতীক খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোর্ত্তজা রশিদী দারা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ হারুনুর রশিদ।

এ বিভাগের আরো খবর