বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি পদত্যাগ করবেন: ফখরুলকে কাদের

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৩

‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এই সংকট মোকাবিলা করছে এবং আগামীতে এই সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে। বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন- বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন?’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে গোটা বিশ্ব যখন খাদ্য সংকটের মুখে পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করা বিএনপি নেতাদের আচরণকে ‘অপরিণামদর্শী’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা না অনুধাবন না করে বিএনপি উল্টো জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য তার।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। যা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন, আজগুবি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এই সংকট মোকাবিলা করছে এবং আগামীতে এই সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে। বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন- বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন?’

বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয় জানিয়ে কাদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েছে। আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন।

‘কিন্তু অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন এবং জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।’

‘শকুনের দোয়ায় গরু মরে না’

আন্দোলনে সরকারের পতন হবে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার কড়া সমালোচনা করেছেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমনটা বলে আসছেন। সরকার পতনের লক্ষ্যে তারা কখনও শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন, কখনো ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলন এবং কখনও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, ‘শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না তেমনি বিএনপির দোয়ায়ও সরকারের পতন হবে না। সরকার পদত্যাগের যে অলীক স্বপ্নও বিএনপি নেতারা দেখছেন এবং তাদের কর্মীদের দেখাচ্ছেন তা বাস্তবে কখনও ঘটবে না।

‘ক্ষমতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ এবং ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। জনগণ যতদিন চাইবে শেখ হাসিনা সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না।’

সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করায় বড় সর্বনাশ হয়েছে বলে বিএনপি যে বক্তব্য দিয়েছে তারও জবাব দিয়েছেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো চিহ্নিত করা আছে।’

‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার ঘোষিত বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চরণ বা সংরক্ষণ করে এবং যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্বের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।’

রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই পরিকাঠামোগুলোর নিরাপত্তা সামান্য বিঘ্নিত হলে তা রাষ্ট্র ও জনগণেরই বিপুল ক্ষতির কারণ হবে। এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বা তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিকও নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর