বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেডিএতে ছুটির মধ্যে ৩৬ ঘণ্টায় ১৬ জনকে নিয়োগ

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ১০:২৮

৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ১৬টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ৮ শতাধিক পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে রাতেই ফল ঘোষণা করা হয়। পরদিন শনিবার সকালে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে বিকেলেই ১৬ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচিত ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তা-ও আবার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর একটি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে দুইজনকে।

সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে মাত্র ৩৬ ঘণ্টায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী, কার্য সহকারী, সার্ভেয়ার, নিরাপত্তা প্রহরীসহ ১৬টি পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)।

৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ১৬টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ৮ শতাধিক পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে রাতেই ফল ঘোষণা করা হয়। পরদিন শনিবার সকালে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে বিকেলেই ১৬ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচিত ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তা-ও আবার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর একটি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে দুইজনকে।

ছুটির দিনে পরীক্ষা গ্রহণ এবং কেডিএ বোর্ড সদস্য ও কর্মকর্তাদের না জানিয়ে তড়িঘড়ি এভাবে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করা নিয়ে তোলপাড় চলছে কেডিএ-তে। গোপনে পরিচালিত এই নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

অবশ্য কেডিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি। নিজেদের পছন্দের লোককে নিয়োগ দিতে না পেরে অনেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আইন ও বিধি মেনেই ১৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ৯টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বছর স্থপতি, সহকারী টাউন প্লানার ও সহকারী প্রোগ্রামার পদে চারজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর করোনার কারণে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) ও (বিদ্যুৎ) একটি করে, কার্য-সহকারী ও সার্ভেয়ার একটি করে, নিরাপত্তা প্রহরীর ১০টি পদ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীর একটি পদের বিপরীতে এই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ৮ শতাধিক প্রার্থী ৭ অক্টোবরেরর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন।

সূত্র জানায়, ৭ অক্টোবর শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে রাতেই ফল ঘোষণা করা হয়। ওইদিন গভীর রাতে সেখানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী, কার্য-সহকারী ও সার্ভেয়ারের ৪টি পদে ২০ জনকে; নিরাপত্তা প্রহরীর ১০টি পদে ৫০ জনকে এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীর একটি পদে বিপরীতে ১২ জনকে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

একইসঙ্গে তাদের ৮ অক্টোবর সকাল ১০টার মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। শনিবার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ১৬ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ কমিটি।

নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া নগরীর ইকবালনগর এলাকার এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। পরদিন জানতে পারি, রাতেই পরীক্ষার ফল দিয়েছে এবং মৌখিক পরীক্ষাও হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কেডিএ’র বোর্ড সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও জামাল উদ্দিন বাচ্চু কিছু জানেন না বলে জানান।

মন্তব্য জানতে নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটির সদস্য সচিব ও কেডিএর সচিব মো. তবিবুর রহমানের দপ্তরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

কেডিএর সদস্য (প্রশাসন) রুনু রেজা এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

কেডিএর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের বক্তব্য নিতে গেলে তার দপ্তরে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রেখে জানানো হয়, এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেডিএর একজন সদস্য প্রশ্ন তুলে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ ও সঠিক হয় তাহলে গোপনে পরীক্ষা নেওয়া হলো কেন? আর ৭ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিল। কেডিএর সদস্য ও কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ছুটির মধ্যেই পরীক্ষা নেয়াটা এতো জরুরি হয়ে পড়ল কেন?

এ বিভাগের আরো খবর