বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোমতীর চরে সাদা সোনা

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৩৭

কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও দাউদকান্দি উপজেলার গোমতী নদীর চরের কৃষকদের জমিতে এখন বিস্তির্ণ মুলা ক্ষেত। আষাঢ় মাস থেকেই মুলা বপন শুরু করেন বুড়িচং উপজেলার ভান্তি এলাকার চাষিরা। ইতিমধ্যে কেউ তিনবার, কেউবা চারবার মুলা আবাদ করেছেন।

বিস্তীর্ণ চর জুড়ে সবুজের মেলা। সবুজের ভেতর হাসছে সাদা মুলা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা চট্টগ্রামে যাচ্ছে সাদা সোনা খ্যাত এই মুলা। সময়মতো মুলা চাষ না করলে কৃষকের লাভ থাকে না। কারো কাছে তাই মুলা শস্তা সবজি। তবে মুলা আগাম চাষে গোমতীর চরের কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন।

এক মৌসুমে কেউ কেউ টানা ৩-৪ বার মুলা চাষ করেছেন। লাভ পাচ্ছেন তিন গুণ। তাই এই মুলা এখন কৃষকের কাছে সাদা সোনায় পরিণত হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে গোমতী চরে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও দাউদকান্দি উপজেলার গোমতী নদীর চরের কৃষকদের জমিতে এখন মুলার হাসি দেখা যাচ্ছে। আষাঢ় মাস থেকেই মুলা বপন শুরু করেন বুড়িচং উপজেলার ভান্তি এলাকার চাষিরা। ইতিমধ্যে কেউ তিনবার, কেউবা চারবার মুলা আবাদ করেছেন।

৩৫ থেকে ৪০ দিনে কৃষকেরা উৎপাদন করছেন এই মুলা। ৪০ শতাংশের প্রতি কানি জমিতে আয় করেছেন প্রতিবারে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। কানি প্রতি বিক্রি হয় ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা, যেখানে খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

এ মুলা বিক্রি হয়ে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার আড়তে। মুলা উৎপাদনের পর কৃষকেরা চরের জমিগুলোতে চাষ করেন আগাম আলু। আলু বপনের ১০-১৫ দিন পর সাথী ফসল হিসাবে বপন করা হয় মিষ্টি কুমড়ার বীজ।

স্থানীয় ভান্তী গ্রামের কৃষক আবু তাহের মেম্বার ও ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর বর্ষাাকালে পাহাড়ি ঢলে গোমতী প্লাবিত হলে বন্যার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মুলার গায়ে ক্ষত সৃষ্টিকারী পোকার আক্রমণ হয়। এই দুই বিষয়ে মাঝে মাঝেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মুলা চাষিরা পোকার উপদ্রব থেকে স্বস্তি চান।’

বালিখাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি। চরের এই মুলার স্বাদ ভালো। তাই জেলার বাইরেও এর চাহিদা রয়েছে।’

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, ষোলনল ব্লকের বালিখাড়া, পূর্বহুড়া ও কামারখাড়ায় মুলার চাষ বেশি হয়। পোকার উপদ্রব থেকে স্বস্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান হবে

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, মুলা চাষিদের বালাইনাশকের খরচ কমিয়ে আনাসহ নিরাপদ মুলা উৎপাদন নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের একটি গবেষক দল আগামী সপ্তাহে মুলার জমি পরিদর্শন করবেন। সেই সাথে মুলা চাষিদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের কথা চলছে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গোমতী চরের পলি মাটিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ হয়। এখানের চরে ৪ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। চরে আগাম মুলা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই তারা টানা ৩-৪ বারও মুলা চাষ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর