বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অতিউৎসাহী’ পুলিশ, আ.লীগ নেতাদের তালিকার নির্দেশ বিএনপির

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:৫৯

পুলিশের কিছু অংশ যারা বাধাগ্রস্ত করছে, বাড়িতে-বাড়িতে রেইড দিয়েছে, বাসগুলোতে বাধা দিয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- বাংলাদেশের সংবিধানে সভা-সমিতিসহ যে অধিকার দেয়া হয়েছে চাকরিতে ঢোকার সময় যে ওয়াদা করে তারা ঢুকেছিল, তারা যেন সেই ওয়াদাগুলো আবার পড়ে দেখে। কারণ, ওয়াদাগুলো তারা যদি পড়ে না দেখে, একই কাজ করতে থাকে, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। সমস্ত পুলিশ বাহিনীর ওপর এ দায় এসে পড়বে: আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

‘অতি উৎসাহী’ পুলিশ ও সমাবেশে আসার পথে বাধা দেয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা করছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবং যারা এ কাজে থাকে, আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও তালিকা করেন এরা কারা, গতকাল যারা হামলা করেছে, আক্রমণ করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে, বাধাগ্রস্ত করেছে, আপনারাও তাদের তালিকা করুন।

‘অতি উৎসাহী পুলিশ যারা দেশ, সংবিধান ও পুলিশের আইন লঙ্ঘন করছে, তাদের বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখছি। কারণ, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না।’

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন খসরু।

এই সমাবেশে লোক সমাগমে বাধা দিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে অভিযোগ করে খসরু বলেন, ‘কিছু কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতে রেইড করেছে, অনেককে গ্রেপ্তা করেছে।

‘পরবর্তীতে গতকাল আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে। চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আঘাত করেছে, গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে, পুলিশ বন্ধ করেছে, মোবাইল কোর্ট বসিয়েছে, আক্রমণ করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের অফিস ভাঙচুর করেছে-বাধাগ্রস্ত করার জন্য যা যা করা দরকার তারা কিন্তু কোনোটাই বাদ রাখেনি।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশের কিছু অংশ যারা বাধাগ্রস্ত করছে, বাড়িতে-বাড়িতে রেইড দিয়েছে, বাসগুলোতে বাধা দিয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- বাংলাদেশের সংবিধানে সভা-সমিতিসহ যে অধিকার দেয়া হয়েছে চাকরিতে ঢোকার সময় যে ওয়াদা করে তারা ঢুকেছিল, তারা যেন সেই ওয়াদাগুলো আবার পড়ে দেখে। কারণ, ওয়াদাগুলো তারা যদি পড়ে না দেখে, একই কাজ করতে থাকে, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। সমস্ত পুলিশ বাহিনীর ওপর এ দায় এসে পড়বে।’

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কিছু অতি উৎসাহী সদস্যের দায় সমস্ত পুলিশ বাহিনী কেন নেবে?’- এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা বলেন, ‘র‌্যাবের কিছু সদস্যের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদেরর ওপর নিষেধাজ্ঞা চলে এসেছে। ব্যক্তিগতভাবে এসেছে, প্রতিষ্ঠানের ওপর এসেছে। নিশ্চয় বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী চাইবে না, কিছু অতি উৎসাহী দলীয় আওয়ামী মার্কা সদস্যের দায় বহন করতে চাইবে না।’

আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিল সুশৃঙ্খলা

বুধবারের বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে আমির খসরু বলেন, ‘এই যে মহাসমাবেশ হয়েছে, আমাকে একটি উদাহরণ দিতে পারবে, বিএনপির একজন নেতাকর্মী উচ্ছৃঙ্খলতা দেখিয়েছে কিংবা সহিংসতা করেছে? কেউ দিতে পারবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের যে ধৈর্য, সেটাকে স্যালুট করতে হবে। তারা পূর্ণমাত্রার ধৈর্য রেখে এই মহাসমাবেশকে সফল করেছে।

‘কিন্তু সহিংসতা এসেছে কাদের কাছ থেকে? আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে। আমরা কোনো সময় সহিংস রাজনীতির দিকে যাব না। এই ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।

‘তারা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে, আমরা দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নিতে যেতে চাচ্ছি। আমরা গণতন্ত্রের পথে থাকব, যারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারা সহিংসতার দিকে থাকবে, জয় হবে গণতেন্ত্রর। জয় হবে বাংলাদেশের মানুষের।’

‘বুধবারের সমাবেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাইলফলক’

পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশটি চট্টগ্রামে এই সময়ে সবচেয়ে বড় সমাবেশ উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, ‘এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনার জন্ম নিয়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ গণবিরোধী শক্তি যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, সেই রেজিম এবং রেজিমের শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করার অব্যাহতভাবে চেষ্টা করেছে। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের পক্ষ থেকে যারা সবকিছু উপেক্ষা করে গতকালের সমাবেশকে মহা মহাসমাবেশে পরিণত করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘গতকালের এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে সাড়া জেগেছে গতকাল। ফেসবুকে কোটি কোটি মানুষ মহসমাবেশ চলাকালীন শেয়ার করেছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১২ সালে এই মাঠে উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে খসরু বলেন, ‘অনেকের ধারণা বেগম খালেদা জিয়া যদি গতকাল সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন, তাহলে সারা চট্টগ্রাম জনসভায় পরিণত হত।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর