গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগিতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের হাতেই সুপ্রিম পাওয়ার। সে অনুযায়ী তারা নির্বাচন বাতিল করেছেন। কেন করেছেন, এটার উত্তর তারাই জানেন। আমাদের এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।
‘ভোটে ডিসি-এসপিদের সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আসেনি। ইসি যদি এ ধরনের কোনো অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা পুলিশ, বিজিবি বা কোস্টগার্ড কি ধরনের অসুবিধা করেছে, তা তদন্ত করে দেখবো।’
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে ছিল সজাগ দৃষ্টি। নির্বাচন কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম সংসদীয় আসনে ভোটের আয়োজন করে তারা।
বুধবার সকাল থেকে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে ইসিতে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটারের পরিচয় শনাক্তের পর গোপন কক্ষে থাকা ব্যক্তি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। নির্বাচন কমিশন একাধিকবার এই ব্যক্তিদের ‘ডাকাত’ উল্লেখ করে বলেছে, ডাকাত ঠেকানোই তাদের চ্যালেঞ্জ।
১৪৫টি কেন্দ্রে স্থাপন করা এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ ঢাকায় বসেই পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।
এরপর সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’ পরে বেলা আড়াইটার দিকে ভোট বাতিলের ঘোষণা আসে। সেখানে নতুন করে ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে ডিসি-এসপিদের অসহযোগিতা নিয়ে অভিযোগ তুললেও তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেনি নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা কমিশনের সিদ্ধানের বিষয়।’
এদিকে গাইবান্ধার ভোটে অনিয়ম তদন্তে তাকেই প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন ইসি।
এ বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে যে ফাইন্ডিংসটা পাবো, সেটা কমিশনে জমা দেবো। কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। কমিটি তো অন্য একটা মন্ত্রণালয়ে দেয়ার এখতিয়ার নেই৷ আগে তদন্তটা শেষ হোক তারপর দেখা যাবে।’