যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া দারুল আমান শিক্ষা সদনের দুই অভিভাবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে বৃহস্পতিবার সকালে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা এক ঘণ্টা পর সরে যায়।
বিক্ষোভকারী শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, স্কুলে শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে। সকালে অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে স্কুল আসছিলেন। এ সময় ছোটখাট কোনো বিষয়ে অভিভাবক আফিয়া নাসরিন ও ঝুমকা খাতুনের সঙ্গে আরেক অভিভাবক আফরোজা খাতুনের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আফিয়া ও ঝুমকাকে মারধর করতে থাকেন আফরোজা।
এ ঘটনা পরপরই আফরোজার বিচার চেয়ে বিক্ষুব্ধরা যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। মহাসড়কের দুই পাশে শ শ যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও ইউএনও গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে এক ঘণ্টা পর তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আফরোজা প্রায়ই স্কুলে গিয়ে গণ্ডগোল করেন। কয়েকদিন আগেও তার ছেলেকে এক শিক্ষককে গায়ে হাত তোলার অপরাধে তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার অনুরোধে তাকে আবার স্কুলে নেয়া হয়।
‘বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে আফরোজা দুইজন অভিবাবককে মারধর করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করেই যাচ্ছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার ও প্রতিকার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে আফরোজা খাতুন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার তর্ক ও ঝগড়া হয়েছে। মারধর করা হয়নি।’
এর আগেও শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগের কথা বললে তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনা তো মীমাংসা হয়ে গেছে।’
ইউএনও নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, ঘটনা তদন্ত করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।