বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারিতে

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:০৯

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রথমধাপে ইজতেমা হবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপে হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি।

দুই বছর পর আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঠিক করেছে সরকার। সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই আয়োজন করার নির্দেশনা এসেছে।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্তে এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, প্রথম ধাপের ইজতেমা হবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি, দ্বিতীয় ধাপে হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি।

বিশ্ব তবলিগ জামাতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে নিয়ে বিরোধের জেরে ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় গত দুই বছর টঙ্গীর তুরাগ তীরের এই ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২ বছর ইজতেমা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০২৩ এর সংক্ষিপ্ত আকারে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইজতেমা নিয়ে মতবিরোধ আছে এবং চলছে। পরামর্শ চেয়েছিলাম। জানিয়েছি, গতবারের (২০১৯ সাল) মতো করে হবে। তারা মেনে নিয়েছেন।’

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সভা হয়। সভায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনার সহ উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বে কোভিড মহামারি শুরুর আগে সবশেষ ২০১৯ সালে ইজতেমা হয়। গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে প্রতিবছরই এ আয়োজন চলে আসছিল। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। বিদেশ থেকেও অনেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মতোই এবারও ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে। প্রথমধাপে ইজতেমা হবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি আর দ্বিতীয় ধাপে হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। এবার কোভিড কিছুটা ইমপ্রুভ করাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে ২০২৩ সালে ইজতেমা যেন সংক্ষিপ্ত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে আজ আমরা সভা করেছি।

‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইজতেমার তারিখও নির্ধারণ হয়েছে। দুবারে আয়োজন করা হবে। প্রথমে জুবায়ের গ্রুপ করবে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি। এরপর দ্বিতীয় পক্ষ করবে ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত।’

আগে একসাথে বিশ্ব ইজতেমা হলেও তাবলিগ নেতাদের মতবিরোধে তারা দুই ভাগ হয়ে গেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন এই ইজতেমা করতে গিয়ে কিছু মতবিরোধ চলছিল এবং সেটা এখনও আছে। সেটা নিরসনে আমরা গতবার দুই ধাপে ইজতেমা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম, তারা সেভাবে এবারও করবে। একদলের নেতা হলেন জুবায়ের আর অন্য দলের নেতা হলেন ওয়াসেক সাহেব। দুজনই আগে এক সঙ্গে তাবলিগ করতেন, এখন তারা দুই প্রান্তে চলে গেছেন। তাদের সবাইকে আমরা এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যাতে তারা ইজতেমা সুন্দরভাবে করেন।

‘পাশাপাশি অনুরোধ করেছিলাম, তারা দুজন একত্রে বসে যেন আমাদের সিদ্ধান্ত দেন। কে আগে করবেন, কে পরে করবেন বা একত্রে করা যায় কিনা এসব বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা একমত হতে পারেননি। কে আগে করবেন, কে পরে করবেন এটাও তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আমাদেরকে সিদ্ধান্তের ভার দিয়েছিলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি কোনো কিছুই তাহলে আর পরিবর্তন করব না। গতবার যেভাবে হয়েছে এবারও সেভাবেই হবে। তারা মেনে নিয়েছেন এবং সম্মতি জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম পক্ষ ইজতেমা আয়োজন শেষে মাঠ প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেবে। প্রশাসন মানে পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় মেয়রকে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। মধ্যবর্তী সময়ে দ্বিতীয় পক্ষ মাঠ তৈরি করে ইজতেমা করবেন।

‘তাদের বলে দেয়া হয়েছে বিদেশি যারা আসবেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আর সবকিছু ছোট পরিসরে করতে বলা হয়েছে। ছোট পরিসর মানে সীমিত পরিসরে করতে বলা হয়েছে। তারা সেভাবেই করবেন। বিদেশি আসার জন্য আমাদের একটি তালিকা দিয়ে থাকেন। এগুলোকে আমরা ভিসা আলাদাভাবে দিয়ে থাকি। সেগুলো তারা পর্যায়ক্রমে করবেন।’

ইজতেমায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমেই বলছি স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলতে হবে। আর কোভিডের সময় যেভাবে এতটু দুরে বসা, মাস্ক পড়া বা কোভিড টিকা ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না এসব মেনে চলতে হবে।

‘গতবার জেলা থেকে যে সংখ্যায় লোকজন এসেছিলেন, এবার আমরা তাবলিক নেতাদের অনুরোধ করেছি তারা যেন সংখ্যাটা কমিয়ে আনেন।’

এ বিভাগের আরো খবর