বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিইসির পদত্যাগ দাবিতে ফের বিক্ষোভে রিপন সমর্থকরা

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:২৪

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, ‘ভোটের মাঠে একটা লাশও পড়ল না, একটা মানুষও আটক হলো না। কোনো বিশৃঙ্খলাই হয়নি নির্বাচনে। তবে কেন বা কী কারণে ভোট বন্ধ করা হলো তা স্পষ্ট নয়। অবিলম্বে সিইসির পদত্যাগ চাই আমরা।’

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে গোপন কক্ষে ‘ডাকাতের’ উপস্থিতি দেখে ভোট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে ফুলছড়িতে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কের ফুলছড়ি উপজেলা চত্বরের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহমুদু হাসান রিপনের পক্ষের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। পরে উপজেলা গেটসংলগ্ন সড়কে আধাঘণ্টা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।

এ সময় উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার চালিয়েও বিক্ষোভ করে নেতা-কর্মীরা। এতে সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজের সভাপতিত্বে কর্মসূতিতে শত শত নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সব যাচাই-বাছাই না করে অতি নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে ভোট বন্ধ করে দিয়েছে।

বুধবার ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তের পরপরই ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বেশ কিছু স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েও প্রতিবাদ করেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, ‘নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের হটকারি সিদ্ধান্ত। কোনো অভিযোগ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত রহস্যজনক।

‘ভোটের মাঠে একটা লাশও পড়ল না, একটা মানুষও আটক হলো না। কোনো বিশৃঙ্খলাই হয়নি নির্বাচনে। তবে কেন বা কী কারণে ভোট বন্ধ করা হলো তা স্পষ্ট নয়। অবিলম্বে সিইসির পদত্যাগ চাই আমরা।’

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনের উপনির্বাচনটির দিকে দৃষ্টি ছিল এই কারণে যে গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম কোনো সংসদীয় আসনে ভোটের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার সকাল থেকে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটারের পরিচয় শনাক্তের পর গোপন কক্ষে থাকা ব্যক্তি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। নির্বাচন কমিশন একাধিকবার এই ব্যক্তিদের ‘ডাকাত’ উল্লেখ করে বলেছে, ডাকাত ঠেকানোই তাদের চ্যালেঞ্জ।

তবে এই ডাকাত ঠেকানো যায়নি। ১৪৫টি কেন্দ্রে স্থাপন করা এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ ঢাকায় বসেই পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।

এরপর সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে ভোট বাতিলের ঘোষণা আসে। সেখানে নতুন করে ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিভাগের আরো খবর