রাজধানীর শুক্রাবাদে বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের মধ্যে অন্য দুজনও গ্রেপ্তার হতে পারেন কিছুক্ষণের মধ্যে।
মামলার পর আসামিদের ধরতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
ইতোমধ্যে একাধিক আসামি গ্রেপ্তার হলেও অভিযান চলমান থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশের কোনো সদস্য। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেরেবাংলা নগর থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি দুজনও গ্রেপ্তার হতে পারেন কিছুক্ষণের মধ্যে।
তবে অভিযান শেষ হওয়ার আগে সব কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এদিকে দুপুরে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ডিএমপির তেজগাঁঁও বিভাগ। দুপুরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।
ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে চার জনকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার রাতে শুক্রাবাদে একটি বাসায় মেকআপের জন্য ডেকে এনে এক বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
তার স্বামী জানান, তার স্ত্রী সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় এক নারী কল করে ধানমন্ডিতে এসে মেকআপ করে দেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। কল পেয়ে ২৮ নম্বর সড়কে আসার পর কয়েকজন জোর করে একটি বাসায় নিয়ে যান তাকে। সেখানে অন্তত তিনজন তাকে ধর্ষণ করেন।
তিনি জানান, ধর্ষণকারীদের সঙ্গে এক নারীও ছিলেন।
বিউটিশিয়ানের স্বামী আরও জানান, তার স্ত্রী ৮ থেকে ৯ বছর ধরে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাসায় গিয়ে মেকআপ করেন। মঙ্গলবার একটি কল পেয়ে সাভার থেকে ঢাকায় আসেন তিনি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী বলেন, ‘ভুক্তভোগী অসুস্থ থাকায় আমরা এখনও ঘটনাস্থল খুঁজে পাইনি। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করে যাচ্ছি।’