দ্রুত বিচার আইনে মামলা আমলে নেয়ায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শহীদুল হক উজ্জ্বলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক ছাড়াও কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে এ প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনের বরাতে ইউএনও জানান, গত ২১ জুন উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মঞ্জিলেরকান্দা গ্রামের আনোয়ার আলীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে লুটপাট ও দখলের অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও সদস্য উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরে ১১ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ ৯ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মেহনাজ আফরোজা তা নাকচ করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যদিও পরবর্তীতে নতুন আবেদনের মাধ্যমে বর্তমানে অভিযুক্তরা জামিনে রয়েছেন বলেও জানান ইউএনও।
এ অবস্থায় প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন-২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক৷
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যেহেতু ওই চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি আমলে নেয়া হয়েছে, ফলে তাদের পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমিচীন নয়। ওই চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনা করে নির্ধারিত আইনে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।