বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্যাস স্টেশন বন্ধ আরও দুই ঘণ্টা

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:১২

আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট মার্কেটে গ্যাসের দর অস্বাভাবিক লাফ দেয়ার পর আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। রপ্তানির কথা চিন্তা করে শিল্পে সরবরাহ বাড়াতে হয়েছে। আর জ্বালানির অভাবে গ্যাসচালিত কেন্দ্রগুলোর অনেকগুলো বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। এর প্রভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ তীব্র লোডশেডিংয়ের শিকার হয়েছে।

গ্যাস সংকটে আরও দুই ঘণ্টা সিএনজি গ্যাস স্টেশন বন্ধ রাখতে চায় সরকার। ফলে দিনে মোট ৭ ঘণ্টা গ্যাস পাবে না গাড়ি। তবে কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ থাকবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ নিয়ে সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কোম্পানি পেট্রোবাংলা। এ সময় তাদেরকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

গত ১ মার্চ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি বন্ধ ছিল।

তবে বৈঠকে সরকারের সিদ্ধান্ত একমত হতে পারেনি স্টেশন মালিকরা। গতকালের বৈঠকে তারা জানায়, এমনিতেই নানা সমস্যায় আছে স্টেশনগুলো। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণেও বিক্রি বন্ধ থাকে অনেক সময়। এর মধ্যে সরবরাহ আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকলে ব্যবসা থাকবে না।

সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ফারহান নূর জানান, বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো মোট সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ দাম দেয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট মার্কেটে গ্যাসের দর অস্বাভাবিক লাফ দেয়ার পর আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। রপ্তানির কথা চিন্তা করে শিল্পে সরবরাহ বাড়াতে হয়েছে। আর জ্বালানির অভাবে গ্যাসচালিত কেন্দ্রগুলোর অনেকগুলো বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। এর প্রভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ তীব্র লোডশেডিংয়ের শিকার হয়েছে।

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা জানান, সিএনজি স্টেশন মালিকদের ডাকা হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে সরকারের অবস্থান জানাতে।

তিনি বলেন, ‘তাদের বুঝতে হবে সরকার বাধ্য হয়েই রেশনিংয়ে যাচ্ছে। তাতে হয়ত ব্যবসায় তারতম্য হবে, তবে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত সবার মঙ্গলের জন্য।’

দেশে বর্তমান গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ২৬৭ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে আসছে ৩৮ কোটি ঘনফুট, যার পুরোটাই কাতাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কেনা হয়।

দেশে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৫০০। প্রতি ইউনিট বিক্রি করা হয় ৪৩ টাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর