বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনগুলোতে উপ-নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যরা যদি পদত্যাগ করেন তাহলে সেখানে উপ-নির্বাচন হবে।’
বর্তমানে সংসদে বিএনপির ছয় জন সংসদ সদস্য দলটির প্রতিনিধিত্ব করছেন। এরা হলেন- উকিল আব্দুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অনেক সময় অনেক বিবৃতি দেয়। এছাড়া এমন কিছু সংগঠন আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে। তো এখন কে কি বললো, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইরিন খান তারেক রহমানের বেয়াইন হন।
‘বেয়াইন যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয় বা আরেক দিকে অন্য কোনো বেয়াইন থাকলে সেখান থেকে বিবৃতি আসে বা বিক্রি হয়। সে বিবৃতির তো কোনো মূল্য নেই।’
গণঅভ্যুত্থান হবে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতনের আন্দোলনের যে ডাক দিয়েছেন সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো এরকম কথা আসলে গত সাড়ে ১৩ বছর বলে আসছেন। নানা ধরনের সভা তারা গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে করেছেনও। এর আগেও তারা বিভাগীয় সমাবেশ করেছে, জেলা সমাবেশ করেছে। সেই সমস্ত সমাবেশে আবার নিজেরা মারামারি করেছে, নিজেরা নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করেছে। এ ধরনের ঘটনাও ঘটেছে।
‘বিভাগীয় সমাবেশের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে সরকার যেমন জনগণের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, জনগণ যদি প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তোলে আমাদের দলও জনগণের সঙ্গে থাকবে।’‘বিএনপির কথা শুনে হনুমানও হাসে’
দেশে ক্রমাগত লোডশেডিং নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় সারা দেশে বিদ্যুৎ ছিল না। যে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, সেখানেও বিদ্যুৎ সব সময় থাকত না। বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসত।
‘তারা যখন এই ধরনের কথা বলে, তখন নিজেদের শুধু হাসি পায় না, আমার মনে হয় হনুমানও হাসে তাদের এই কথায়’।
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে বিএনপি কথা বলে? যারা বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা দিয়েছিল। তাদের সময় সারা দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। আমার বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার আরও প্রায় এক বছর পর আমার গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে।
‘এরকম সারা দেশে বিদ্যুৎ ছিল না। যে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, সেখানেও বিদ্যুৎ সব সময় থাকত না। বিদ্যুৎ মাঝে মধ্যে আসত। তারা যখন এই ধরনের কথা বলে, তখন নিজেদের শুধু হাসি পায় না, আমার মনে হয় হনুমানও হাসে তাদের এই কথায়।’