বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মানুষ’

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৪২

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনসভাগুলোতে মানুষ আসছে বানের মতো। কণ্ঠে তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আত্মপ্রত্যয়ের আওয়াজ। এই বজ্র-নির্ঘোষ আওয়াজ শেলের মতো বিধছে শেখ হাসিনার বুকে। লুটপাট-খুন-গুম নির্যাতনে ডুবে থাকা সরকারের নেতারা ক্ষমতা হারানোর আতংকে নির্ঘুম হয়ে গেছেন। সরকারের পতনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দিক দিগন্তে।’

দুঃশাসনে জর্জরিত বাংলাদেশের মানুষ এবার হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি আরও দাবি করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দিকদিগন্তে।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন সব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে দুঃশাসনকবলিত বাংলাদেশের মানুষ এবার হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। আমাদের সভা সমাবেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন যেভাবে তৃণমূলের উত্থান হয়েছে তাতে অবৈধ সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

‘জনসভাগুলোতে মানুষ আসছে বানের মতো। কণ্ঠে তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আত্মপ্রত্যয়ের আওয়াজ। এই বজ্র-নির্ঘোষ আওয়াজ শেলের মতো বিধছে শেখ হাসিনার বুকে। লুটপাট-খুন-গুম নির্যাতনে ডুবে থাকা সরকারের নেতারা ক্ষমতা হারানোর আতংকে নির্ঘুম হয়ে গেছেন। সরকারের পতনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দিক দিগন্তে।’

রিজভী বলেন, ‘বিপুল জনসমাগম দেখে তারা উন্মাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। হুড়মুড় করে এই বুঝি গণভবনে ঢুকে পড়লো গণতন্ত্রকামী লাখো জনতার উত্তাল স্রোত-এমন দু:স্বপ্ন প্রতিমূহুর্তে মনে হয় তাড়া করছে প্রধানমন্ত্রীকে। এ কারণে জনতার দুর্বার আন্দোলনের কথা শুনে হিংস্র হয়ে উঠেছেন তারা।’

খালেদা জিয়া ইতিহাসের চরমতম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে দলটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে আবারো নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তাদের এই হুংকারে আবারো জনগণের সামনে প্রমাণিত হলো দেশের মানুষের প্রাণের স্পন্দন সবচেয়ে জননন্দিত জনপ্রিয় খালেদা জিয়া ইতিহাসের চরমতম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারারুদ্ধ।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্যাঙ্গারু কোর্টে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলার ফরমায়েশি রায়ে দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করছেন। রাষ্ট্রের বিধিবিধানকে পদদলিত করে চলেছেন। আইন আদালত যে তাদের ইশারায় চলে সেই সত্যটা নিজেদের মুখেই স্বীকার করেছেন হাছান মাহমুদ ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এতেই বুঝা যায় বিচারক এবং আদালত সর্বোপরি প্রশাসন আওয়ামী লীগের তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করে।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কৃপা কিংবা ক্রোধের ওপরই দেশ শাসিত হচ্ছে। দেশের ও তার নিজের দলের প্রকৃত অপরাধীদের তিনি কৃপা করছেন, আর ফ্যাসিবাদের সমালোচনাকারীদের পরিণতি হচ্ছে মিথ্যা মামলায় কারাবরণ কিংবা অন্য কোনো ভয়ানক পরিণতি। খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অথচ বর্তমান সময়ে প্রতি বছর লাখো কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে এবং সেই টাকা পাচার হচ্ছে। এরাই আবার সিঙ্গাপুরে শ্রেষ্ঠ ধনী হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছে। এরাই বিগত ১৩-১৪ বছর ধরে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এদেরকে এ সরকার দিয়েছে আইন করে ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, আইন আদালতে আওয়ামী চেতনার পরীক্ষিত ব্যক্তিদের বসিয়ে অভিনয় করানো হয়। কিন্তু আসল রায় আসে গণভবন থেকে। প্রাণ বাঁচাতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এই কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিচার-আচার সব একজায়গা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।’

দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে থাকবেন, না বাইরে থাকবেন সেটা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেন! খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা-জেল এগুলো আসলে অপরাধের কারণে নয়, তিনি সম্পূর্ণরূপে নিরাপরাধ। শুধুমাত্র নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ধরে রাখার চক্রান্তে নিজের পথের কাঁটা দূর করতে দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে অসত্য মামলায় সাজা দিয়েছে এই সরকার। দেশনেত্রীকে নিয়ে হাছান মাহমুদ ও শেখ ফজলে নূর তাপসের হুংকারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই মূহুর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

চট্টগ্রামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ ধরনের কাপুরুষোচিত ও বর্বরোচিত হামলা, নেতা-কর্মীদের গুরুতর আহত করাসহ চট্টগ্রাম মহানগরে নেতা-কর্মীদের বাসায় ও হোটেলগুলোতে পুলিশের তল্লাশি ও পথে পথে বাধা দেয়ার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।

এ সময় তিনি গাজীপুরে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানান। রিমান্ডে নিয়ে বিএনপি নেতাদের নির্যাতন করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর