নাটোরের গুরুদাসপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় একই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হর-তকীতলা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটক ওই শিক্ষকের নাম ফিরোজ আহমেদ। তার বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ১ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী ব্যবহারিক পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যান। পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ের মূলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ওই ছাত্রী। এ সময় প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে পিস্তলের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফিরোজ।
‘এ ঘটনায় সেদিন রাতে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফিরোজ আহমেদসহ আরও দুইজনের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরদিন সকালে গুরুদাসপুরের নাজিরপুর এলাকা থেকে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করলেও পালিয়ে যান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক।’
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষাভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠার পর প্রধান শিক্ষকে বহিষ্কার করেছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হর-তকীতলা এলাকা থেকে প্রধান শিক্ষক ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তাকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের বিষয়ে শুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটিকে প্রথমে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে নিয়ে গুরুদাসপুরে মুভ করেন ওই শিক্ষক। মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় টের পেয়ে পালিয়ে যান তিনি।’