জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে হইচইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, নিজের সুবিধামতো সময়ে অফিস শুরু করবেন।
বুধবার নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন তিনি।
গত শনিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের বাধার মুখে বক্তব্যের মাঝপথে থেমে যান নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় এমন ঘটনা ঘটে।
জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা উপনির্বাচনসহ দ্বাদশ ভোটের মাঠের পরিস্থিতি জানতে দেশের ৬১ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে ঢাকার নির্বাচন ভবনে গত শনিবার বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
সেখানে বিগত ভোট ও জেলা পরিষদ ভোটে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি বক্তব্যে তুলে ধরেন ইসি আনিছুর রহমান। তখনই সভাকক্ষে হইচই সৃষ্টি হয়।
ডিসি-এসপিদের আপত্তির মুখে সেই কমিশনার জানতে চান আপনারা কি আমার বক্তব্য শুনতে চান কি না?
জবাবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নেতিবাচক সাড়া দিলে বক্তব্য থামিয়ে ডায়াসে চলে যান তিনি।
গত সোমবার ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ নিয়ে ডিসি-এসপিদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সুযোগ নাই। সহকর্মীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় বিব্রত ইসি রাশেদা।
একই দিনে ইসি রাশেদা সাংবাদিকদের জানান, হইচইয়ে বিব্রত হয়েছেন তিনি। তবে এ ঘটনায় তিনি বিচলিত নন। ইসি আনিছুরের কথার প্রক্ষেপণটা ওনাদের ভালো লাগে নাই, তবে কথাগুলো সত্য এবং অমূলক নয় বলে মনে করেন এই কমিশনার৷
এ ঘটনা ঘটার দুই দিন পর সিইসি তার প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করেন, তার সহকর্মীদের সঙ্গে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে ডিসি-এসপিদের।
এরপর আজ পত্রিকার পাতায় খবর বেরিয়েছে পদত্যাগ করতে পারে ইসি আনিছ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি আনিছুর বলেন, ‘আমি এমন সিদ্ধান্ত নেই নাই। কোথাও বলিও নাই। পত্রিকায় যারা বলছে, তাদের জিজ্ঞেস করেন।’
সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।’
অফিস করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সুবিধামতো সময়ে অফিস করব। কালও যেতে পারি। রোববারও যেতে পারি।’