বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:১৫

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক আইন খুব একটা মানি না। গতিসীমা মানি না। জাতিগতভাবেই আমরা উল্টোপাল্টা গাড়ি চালাই। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী কিছুদিনের মধ্যে মহাপ্রকল্প আসছে। এর দুটি পাইলট প্রকল্প আজ অনুমোদন হয়েছে।’

দেশের মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভার থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্র বসানো হবে। এই প্রকল্প দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সারা দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১২২ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নতুন এই প্রকল্প অনুমোদনের খবর জানান।

প্রকল্পটির নাম ইমপ্রুভিং দ্য রিলায়েবিলিটি অ্যান্ড সেফটি অন ন্যাশন্যাল হাইওয়ে করিডর অফ বাংলাদেশ বাই ইন্ট্রোডাকশন অফ ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম (আইটিএস)।

​প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আইটিএসের মাধ্যমে সময় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী, যানজট ও দূষণমুক্ত, সর্বোপরি দুর্ঘটনামুক্ত দক্ষ সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক আইন খুব একটা মানি না। গতিসীমা মানি না। জাতিগতভাবেই আমরা উল্টোপাল্টা গাড়ি চালাই। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী কিছুদিনের মধ্যে একটি মহাপ্রকল্প আসছে। এর দুটি পাইলট প্রকল্প আজ অনুমোদন হয়ে গেছে।

‘কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) কিছু দেবে, আমরা কিছু দেব। সেসব যন্ত্র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে বসানো হবে। এই প্রকল্পের এলাকা হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা।

‘কেউ গাড়ি দ্রুত চালিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যাবে। গাড়ির নম্বর চলে আসবে। ট্র্যাক করা যাবে। এখানে এর সাফল্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রকল্পটি আমরা পর্যায়ক্রমে সারা দেশে নিয়ে যাব।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্প ব্যয় ১২২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেবে সরকার। বাকি ৮৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দেবে কোইকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও উন্নত সড়ক পরিবহন অবকাঠামো ও অপারেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পের আওতায় আইটিএস-এর মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করা হবে। সওজ সদর দপ্তরে স্থাপন করা হবে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার।

একনেক সভায় এই প্রকল্পসহ মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বাদ দেয়া হয়েছে একটি প্রকল্প।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাদ দেয়া প্রকল্পটি ছিল বগুড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফ্লাইং স্কুল ইত্যাদি। এখানে কিছু আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা স্থগিত। তারা রিভিশন করে নতুন করে নিয়ে আসবে সেটা।’

এ ছাড়া অনুমোদন পেয়েছে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের উন্নতমানের সাময়িক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ৫৯ কোট ১৪ লাখ টাকার প্রকল্প সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ। ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণের প্রকল্প।

এ ছাড়া রয়েছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নদী তীর সংরক্ষণ, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঢাকার খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি।

এ বিভাগের আরো খবর