বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভটিজিং রোধের উপায় মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা নয়

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:৪৯

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইভটিজিং রোধের উপায় কোনভাবেই মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা নয়। ইভটিজিং রোধের উপায় অপরাধীদের শাস্তি দেয়া।’

ইউটিজিং রোধে মেয়েদের ঘরে আটকে না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ইউনিসেফ আয়োজিত সংলাপে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘ইভটিজিং রোধের উপায় কোনভাবেই মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা নয়। ইভটিজিং রোধের উপায় অপরাধীদের শাস্তি দেয়া।’

এসময় তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরির্বতনের নানা দিক তুলে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাঠ্যসূচির পরিবর্তন করা হচ্ছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কোডিং অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।’

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ তৈরি করার জন্য সরকার নতুন কারিকুলাম পাইলটিং শুরু করতে যাাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের পাশাপাশি মানবিক ও সৃজনশীলতাকেও যুক্ত করা হবে। যা শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞানমনস্ক করার পাশাপাশি মানবিক, অসম্প্রদায়িক ও দক্ষ প্রজন্ম তৈরিতে সহায়তা করবে।’

নতুন কারিকুলামের পাইলটিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন কারিকুলাম তৈরি হয়েছে। তার পাইলটিং চলছে। ফিডব্যাকও ভালো। কিন্তু ৬২টি প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং করা যত সহজ ৩৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা ততটা সহজ নয়। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। রাতারাতি সবকিছু পাল্টে যাবে না। ৪ লক্ষাধি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষণ দিলেও সবার নেবার ক্ষমতা তা কিন্তু নয়, সবার মেধাও সমান নয়। এখানে তারতম্য হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষার্থী তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা যেন কেবল প্রযুক্তিতে দক্ষ নয় বরং উদ্ভাবনেও দক্ষ হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলছি।’

প্রাপ্তি নামক এক শিশু অ্যাক্টিভিস্ট বলে, ‘বাড়ির বাইরে ঘুরতে গেলেও হাজারও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। মতপ্রকাশেরও কোনো স্বাধীনতা নেই। সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করি লেখাপড়ার বাধা। গ্রামে বলা হয় মেয়েরা পড়ালেখা করে কী করবে!’

শিশু সাংবাদিক কারিমা ফেরদৌসী কেকা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর ভর করে চলছে। বিশ্ব এখন তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে চলছে, আর সামনে আসছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না যায় সেজন্য প্রয়োজন স্টেম শিক্ষাপদ্ধতি।’

সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথেম্যাটিকস - এই চারটি বিষয়ের আদ্যক্ষর মিলিয়ে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে স্টেম এডুকেশন।

১৭ বছর বয়সী ব্র্যাকের আইটি ট্রেইনার সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘সরকারি সুযোগে আমি আইটি প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেই প্রশিক্ষকের কাজ করছি।’

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারীদের এসএসসি ও এইচএসসির পর শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেন যা নারীদের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারহা কবির, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জেরেমি ব্রুয়ারসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর