নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই প্রাণহানির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
দলের বিবাদমান দুই পক্ষ সোমবার রাতে সিংড়া থানায় মামলা করে। দুই মামলায় আসামি ৭৭ জন।
সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত রোববার রাতে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুকাশ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আলী এবং বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আফতাব ও ফরিদুলের সমর্থক রুহুল আমিন নিহত হন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে আফতাবের ছেলে আব্দুল ওহাব হত্যা মামলা করেন। এরপর নিহত রুহুল আমিনের ছেলে মো. শাহীন আরেকটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, আফতাব হত্যা মামলায় ২০ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে; প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিন ও তার ছোট ভাই আব্দুল কুদ্দুসকে। আর রুহুল আমিন হত্যা মামলার আসামি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ ৪২ জন। দুই মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনায় জামিল বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব আলীর সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে আফতাব গ্রুপের সমর্থকরা বামিহাল দশোপাড়ার গ্রামে ফরিদুল সমর্থক কুদ্দুসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
‘বাধা দিতে গেলে ফরিদুল সমর্থক রুহুল আমিনসহ তিনজন আহত হয়। পরে ফরিদুল সমর্থকরা আফতাব ও তার সমর্থক কালামের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক আফতার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে রুহুল আমিন, কালামসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার সকালে রুহুল আমিন মারা যান।