গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ ভবন থেকে খুলে ফেলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রচারের সব ব্যানার-ফেস্টুন।
ব্যানারে কলেজভবন ঢাকা পড়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। নিউজবাংলাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এরপর সোমবার রাত থেকেই ব্যানার-ফেস্টুনগুলো সরিয়ে নিতে থাকেন তারা।
কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আব্বাস উদ্দিন খোকন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। যে কারণে সম্মেলন উদযাপন কমিটির একটি মিটিংয়ে আমরা কলেজ ভবন থেকে ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। আমি আমার পক্ষে লাগানো সব ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলেছি।’
এ বিষয়ে কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘বিকেলে তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) মিটিং হয়, সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারপর তারা কলেজ ভবন থেকে সব পোস্টার-ফেস্টুন সরিয়ে নিয়েছে।’
- আরও পড়ুন: ‘আ.লীগ নেতাদের আত্মপ্রচারে ঢাকা পড়ল কলেজটি’
দীর্ঘদিন পর হতে যাওয়া থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে টানানো হয়েছিল এসব প্রচারপত্র। কমিটিতে পদপ্রত্যাশী ও তাদের অনুসারীরা প্রচার ও সিনিয়র নেতাদের নজর কাড়তে লাগিয়েছিলেন এসব।
কলেজের ফটকের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে সাঁটানো ছিল ছোট-বড় অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুন। কলেজে প্রবেশ করতেই মাঠের চারপাশে চোখে পড়ছিল অসংখ্য প্রচার উপকরণ।
তবে কলেজ ক্যাম্পাসের মূল ভবনের ছবিটি মূলত ভাইরাল হয় ফেসবুকে। চারতলা পুরো ভবনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত যেদিকে চোখ যায় শুধু ব্যানার আর ফেস্টুনের সমারোহ। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো কলেজ ভবন। দেখে মনে হবে এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল এই কাজ সমর্থন করেননি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি গঠনের পর এই প্রথম কোনো থানা কমিটির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। তাই নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে। তবে চর দখলের মতো, কলেজ ভবনে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে জায়গা দখল করা নেতা-কর্মীদের ঠিক হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক দক্ষতা ও দলের জন্য পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করে আমরা নেতা নির্বাচিত করব। ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে নেতা হওয়ার সুযোগ নেই।’
সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘কিছু অতি উৎসাহী নেতা-কর্মী এ ধরনের কাজ করেছে। এছাড়াও অনেক হাইব্রিড ও অনুপ্রেবেশকারীও দলে পদ পেতে মরিয়া হয়ে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে নিজেদের জাহির করার চেষ্টা করছে।’