বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে ব্যাপকসংখ্যক জনগণের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের প্রকাশ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, এই সমাবেশগুলোর মধ্য দিয়ে জনগণের একটা অভ্যুত্থান হবে। এভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব।’
চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে বুধবার বিকেলে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিব প্রধান অতিথি হিসেবে এতে বক্তব্য দেবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি ৯টি বিভাগে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। বুধবার এর প্রথমটি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অন্য সমাবেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা ও ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী। ধারাবাহিকভাবে গণসমাবেশ কর্মসূচি শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে মহাসমাবেশ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সীগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম হত্যার প্রতিবাদে বিভাগীয় শহরে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।
দুই দলের সঙ্গে সংলাপ
২০ দলীয় জোটের দুই শরীকের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছি।
‘ইতোমধ্যে এক দফা সংলাপ শেষ করেছি। আজ দ্বিতীয় দফার সংলাপ করছি। এখানে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মূল দাবিগুলো নিয়ে কথা বলছি।‘
ফখরুল বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ১১টি দলের সঙ্গে কথা বলেছি। ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। একমত হয়েছি যে, এই সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলব এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব।’
সংলাপে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি সংলাপে নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য সদস্যরা হলেন- আব্দুল করিম খান, সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান, সামছুল হক, কামরুজ্জামান রোকন, আনওয়ান আনসারী, নাসির উদ্দিন, ইলিয়াস রেজা, আব্দুল কাদির ও মজিবুর রহমান।
ডিএল প্রতিনিধি দলে ছিলেন আকবর হোসেন, খোকন চন্দ্র দাস, কাউসার আলী, ইয়াহিয়া মুন্না, মোহাম্মদ আল আমিন ও মেহতাজ আহসান।