নেত্রকোণার দুর্গাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত সাংমা হত্যার ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানা পুলিশ সোমবার রাতে বাগেরহাটের মোংলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর থানায় আনা হয়।
বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ।
গ্রেপ্তার আব্দুল আওয়াল দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
আর নিহত সুব্রত সাংমা দুর্গাপুরের বহেরাতলি গ্রামের মৃত সুধীর মানকিনের ছেলে। তিনি এই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
সুব্রতর বোন কেয়া তজু জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুল্লাগড়ার রাশিমনি বাজারে এবং শিবগঞ্জ খেয়াঘাটে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল আওয়ালের নেতৃত্বে সুব্রতর ওপর দুই দফা হামলা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত শনিবার দুপুরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনার পরদিন দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন কেয়া তজু। এ মামলায় চেয়ারম্যান আওয়াল, তার ভাই শামিম আহমেদ ও বদিউজ্জামানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে তারা আদালত থেকে জামিন পান।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্যের দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক বিরোধের জেরে সুব্রতকে হত্যা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, সুব্রত সবশেষ ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন। আগেরবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় তিনিই ছিলেন গারো সম্প্রদায়ের প্রথম চেয়ারম্যান।
স্থানীয় ওই ব্যক্তিরা আরও জানান, কুল্লাগড়া ইউনিয়নে বেশিরভাগ বাসিন্দাই গারো সম্প্রদায়ের। এ কারণে সেখানে সুব্রতর জনপ্রিয়তা ছিল বেশি। গত নির্বাচনে বিএনপির আওয়াল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব শুরু হয় তাদের মধ্যে।