বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা নাকচ কৃষিমন্ত্রীর

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:৪৮

বুধবার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে।

দেশে প্রায় ১৮ লাখ টন বেশি ধান, চাল এবং গমের মজুত আছে জানিয়ে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা নাকচ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দুই বছরের কৃষি পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এ মুহুর্তে চালের মজুত আছে প্রায় ১৬ লাখ টন। ধান ৩৭ হাজার টন এবং গম ১ লাখ ৬৯ টন। এটা আমরা সাধারণত আশা করি ১০-১২ লাখ থাকার। কার্তিক-আশ্বিন মাসে প্রায় ১৮ লাখ টন মজুত, খুবই ভালো বলে আমি মনে করি।

‘কাজেই এ নিশ্চয়তা দিতে পারি, দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই,’ যোগ করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার

বিগত দুই বছরের বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছেন কৃষিমন্ত্রী। ৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বুধবার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

‘পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে। এ ছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পাবেন।’

১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে বগুড়ার শেরপুরের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেনারি সার্জন ডা. রায়হান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি চাষে পাবনার ঈশ্বরদীর মো. আমিরুল ইসলাম।

রৌপ্য পদক পাচ্ছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের মো. বদরুল বেপারি, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. হামিদুল হক, ঝিনাইদহ সদরের শারমিন আক্তার, পাবনার আটঘরিয়ার মো. দুলাল মুখা, সাভারের মো. কোবাদ হোসাইন, রাজশাহীর গোদাগাড়ির মো. মনিরুল মনির, ঢাকা শেরে বাংলা নগরের মুহাম্মদ রকিবুল আহসান রনি, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আইয়ুব হোসেন, খুলনার খালিশপুরের মোছা. হালিমা বেগম, যশোরের ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা, সিলেটের আব্দুল হাই আজাদ বাবলা, মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম, খুলনা ডুমুরিয়ার আবুল হোসেন সরদার এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর মো. বাবুল হোসেন।

প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে রৌপ্য পদক পাচ্ছে প্যারামাউন্ট এগ্রো লিমিটেড।

ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছেন রাজশাহীর তানোরের নূর মোহাম্মদ, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার বারেক হাওলাদার, রংপুরের বুড়িহাটের হর্টিকালচার সেন্টারের মো. মজিদুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শফিকুল ইসলাম নওগাঁর পোরশা উপজেলার গৌতম কুমার সাহা, রাজশাহীর পুঠিয়ার মোছা. পূর্ণিমা বেগম, ঢাকার নবাবগঞ্জের নিপু ট্রেডার্স, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবার রহমান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের মো. মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের মো. সহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির হ্লাশিং মং চৌধুরী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মো. গাজী মামুদ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মো. মাহবুবুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের রিনা বেগম, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোমরেজ আলী, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী, পাবনার ঈশ্বরদীর মো. শাহীনুজ্জামান, বান্দরবানের তোও য়োও ম্রো, ফেনীর মো. মজিবুল হক, মুন্সীগঞ্জের সিরাজ খান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ছানোয়ার হোসেন, রাঙামাটির রাজগুলির মো. আবদুল আউয়াল, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের মো. শাকিল মিয়া, নড়াইলের তনিমা আফরিন এবং দিনাজপুরের রাখী দে।

এ বিভাগের আরো খবর