রংপুরের পীরগঞ্জে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ভোটার তালিকা হালনাগাদকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘাতে ছাত্র নিহতের ঘটনায় দুটি মামলায় হয়েছে।
এর একটি করেছেন নিহত মো. আকাশের গোলাপী বেগম, তাতে ১৭ জনের নামসহ আরও কয়েকজনকে। আরেকটি মামলা হয়েছে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। সেটি করেছেন পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেবাশীষ কুমার রায়।
তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে মামলা দুটি হয়েছে। ঘটনার পর আটক ১১ জনকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
রংপুর আদালত পরিদর্শক আনিছুর রহমান নিউবাংলাকে বলেন, ‘১১ আসামিদের পীরগঞ্জ আমলি আদালতে নেয়া হলে আদালতের বিচারক এসএম শফিকুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। অভিযান চলছে।’
উপজেলার ৫ নম্বর মদনখালি ইউনিয়নের খেতাবের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, খেতাবের পাড়া বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভোটকে কেন্দ্র করে ভোটার হালনাগাদ হচ্ছিল। কিন্তু একটি পক্ষ ১৮টি অবৈধ ভোটার করার চেষ্টা করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তাতে আপত্তি জানান।
এই নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার সকাল থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে অবস্থান করে একটি পক্ষ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে বাধা দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে বল্লম ছোড়া হলে সেটি কিশোর আকাশের গায়ে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই পক্ষের লোকজন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পীরগঞ্জ থানার এসআই নুরুল ইসলামসহ অনেকেই আহত হন।