রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ নেতা-কর্মীর জামিন মেলেনি।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন দেননি।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব ও সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে শুক্রবার ঢাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে আসামিরা সমাবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন।
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা তাদের বক্তব্যে সরকার, সরকারপ্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তখন ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক ও বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করেন। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে সমাবেশের পরিবেশ নষ্ট হয়।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের নেতা নাজিম উদ্দিন মামলা করেন। মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৪০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।