জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দিতে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত সংবিধান পরিপন্থী বলে মনে করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেছেন, 'জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্র।'
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ ১০ অক্টোবর এনআইডি তৈরির দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার-তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকিবে।’
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন চাইলে ১৮ বছরের বইশ বয়সীদের তথ্য নিতে পারবে। ভোটার তালিকা এবং জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র একই বিষয়বস্তু নয়। সরকার মন্ত্রিপরিষদের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি বড় ধরনের বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।
‘নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য প্রথমে ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে সংবিধান অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ডের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে এই ভোটার আইডি কার্ডের বহুবিধ ব্যবহারের জন্য এনআইডি (ন্যাশনাল আইডি) কার্ড হিসেবে আইনের মাধ্যমে নামকরণ করা হয়। যেখানে সংবিধানে ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’
এ অবস্থায় মন্ত্রিপরিষদের এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বেআইনি। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত সরকারের ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই আইনজীবী।