বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা ওয়াসা এমডির বেতন-ভাতার হিসাব দিতেই হবে

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩২

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন তাকসিম এ খান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন নো অর্ডার দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বেতন-ভাতার হিসাব জমা দেয়া নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

এ আদেশের ফলে তাকসিমকে বেতন-ভাতার হিসাব জমা দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর বেতনসহ কত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব চেয়েছিল হাইকোর্ট।

গত ১৭ আগস্ট বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিল।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গত ১৩ বছরে কত টাকা বেতন, বোনাস এবং অন্যান্য সুবিধাদি দেয়া হয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জমা করতে বলেছেন আদালত।’

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ বা ক্যাবের পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেয়।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন তাকসিম এ খান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন নো অর্ডার দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে।

বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন তিনি। প্রথম নিয়োগের পর থেকে ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা পান।

ঢাকায় অনেক এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি পানের অনুপযুক্ত হলেও তাকসিম দাবি করেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি সুপেয় এবং তিনিও সেটি না ফুটিয়েই পান করেন।

এরপর সমাজকর্মীরা তাকে জুরাইন এলাকায় সরবরাহ করা ওয়াসার পানির শরবত খাওয়াতে আসেন ওয়াসা ভবনে, কিন্তু তিনি সেদিন দেখা দেননি।

পরে ঢাকা ওয়াসার এমডি পানির দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। তিনি জানান, ওয়াসা এখনও ভিক্ষা করে বা সরকারের ভর্তুকিতে চলে। তাই পানির দাম বৃদ্ধি করে সে ভর্তুকি কমাতে চান।

এরই মধ্যে তাকসিম নিজের বেতন বাড়ানোর কথা বলেন বোর্ডকে। ওয়াসার কোনো আয় না থাকলেও নিজের এবং কর্মীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবে সমালোচিত হন দীর্ঘ সময় ধরে এমডি পদে থাকা এ ব্যক্তি।

এ বিভাগের আরো খবর