নোয়াখালী সদরের মাইজদীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রকে হত্যা মামলায় তিন সহোদরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর সোমবার রাতেই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদের।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন হলেন নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ বছরের বোরহান উদ্দিন রাকিব ও ১৯ বছরের আশরাফুল ইসলাম পিয়াস। বাকি তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাইজদীর নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লায় ‘কিশোর গ্যাং সদস্যদের’ ছুরিকাঘাতে খুন হন মো. জোবায়ের নামের এক কলেজছাত্র।
নিহত ১৮ বছরের জোবায়ের বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিন নগরের কাজী বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে এবং নোয়াখালীর সোনাপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক্যালের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
ঘটনার পর স্থানীয়দের বরাতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার সকালের দিকে জোবায়েরের সঙ্গে স্থানীয় রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার দিকে জোবায়েরের এক বন্ধু মোবাইলে কল দিয়ে তাকে বাসা থেকে ডেকে নেয়।
রাকিবের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের ৮-১০ জন জোবায়েরকে বাসার সামনে বেধড়ক পিটুনির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় জোবায়েরের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা কামাল উদ্দিন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আনোয়ারুল।