বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তি মিশনে স্বামী নিহত হওয়ার গল্প ফেঁদে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৪৯

কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় রোববার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রটির হোতা দুই দম্পতিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন, ২টি চেক বই ও ৩২ হাজার ৯শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে তথাকথিত নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই দম্পতিসহ চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন।

রোববার রাতে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রটির এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন, ২টি চেক বই, নগদ ৩২ হাজার ৯শ’ টাকা এবং ভাড়া বাসার চাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই দম্পতি হলেন- চক্রের হোতা নুসরাত জাহান জান্নাত ও তার স্বামী আব্দুর রহমান এবং সাহাবুদ্দিন ওরফে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায়।

একই অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া তাদের সহযোগীরা হলেন- চাঁদপুর জেলার থামপার গ্রামের ইলিয়াস হোসেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর গ্রামের ফাতেমা আক্তার ও বরুড়া উপজেলার বশির উদ্দিন।

র‌্যাব কর্মকর্তা সাকিব হোসেন জানান, প্রতারণার শিকার দুই ভুক্তভোগী মোছা. হাসিনা বেগম ও মোছা. সালমা মির্জা ২০ আগস্ট র‌্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয়ে এবং স্বামীর অনুদানের টাকা উত্তোলনের নামে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

হাসিনা বেগম বলেন, “জুলাই মাসে নুসরাত জাহান জান্নাত নিজেকে শান্তি রক্ষা মিশনে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয়ে আমার বাসার ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য তথ্য চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায় আমি বাসা ছেড়ে চলে এসেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমি আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দেব এবং আমি আপনার বাসায় ২-৩ মাসের মতো থাকব। কারণ ধর্মপুর এলাকায় আমি নিজের জমিতে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করব।’

“পরবর্তীতে জান্নাত নানা কথা বলে আমার মন জয় করে এবং প্রায়ই আমার খোঁজখবর নেয়।”

ভুক্তভোগী সালমা মির্জা জানান, জান্নাত তার পাশের ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়ার পর তার সঙ্গে নানা কায়দায় সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। জান্নাত তাদের উভয়কে জানান যে এই মাসের মধ্যে তার স্বামীর সরকারি অনুদানের এক কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক কোর্ট বিল্ডিং, কুমিল্লা শাখায় জমা হয়েছে। ওই টাকা উত্তোলন করতে ওই ব্যাংকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট হিসাবে ১০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে।

জান্নাত তাদেরকে আরও জানান, তার কাছে দুই লাখ টাকা আছে। ভুক্তভোগীরা তাকে ৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করে দিলে টাকা উত্তোলনের ৩০ মিনিটের মধ্যে তাদেরকে পাওনার অতিরিক্ত এক লাখ টাকা করে দেবেন। একইসঙ্গে তিনি তার অনাথ ছেলেটিকে নিয়েও বাঁচতে পারবেন।

জান্নাতের কথা অনুযায়ী ৮ আগস্ট ভুক্তভোগীরা তাকে ৮ লাখ টাকা দেন। এর পরই জান্নাত উধাও হয়ে যান। এ বিষয়ে তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং র‍্যাবে অভিযোগ দেন।

জান্নাতের বিরুদ্ধে এমন আরও কয়েকটি প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার সাতজনকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর