উত্তরার লেকভিউ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানোর সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তা লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সব নিয়ম মেনে অভিযান চলেছে বলে জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের শাহ গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউ রোডের লেকভিউ রেস্টুরেন্ট ও কিংফিশার বারে অভিযান চালায় ডিবি। অভিযানে প্রায় ৫০০ বিদেশি মদ এবং ছয় হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। এ সময় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়।
ডিবির এ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিএনসি দাবি করে, উত্তরা সার্কেলের একজন পরিদর্শককে জিম্মি ও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। একইসাথে নিয়ম ভেঙে অনুমতি ছাড়াই ডিবি এ অভিযান চালায়।
সোমবার এক ব্রিফিংয়ের সময় ডিবি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন।
তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ‘অভিযান পরিচালনার সময় ডিএনসির কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। পুলিশ বা অন্য সংস্থা মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সেদিন আইনি প্রক্রিয়া মেনেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জায়গায় মদ বিক্রিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ হলে পুলিশ কারণ উল্লেখ করে অভিযান চালাতে পারবে। এই কাজটি আমরা সব সময় করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও করব।
‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রজন্মকে রক্ষা করা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদেরই সহকর্মী। তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। উত্তরার অভিযানে তাদের কর্মকর্তাকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।’
অনুমতি প্রসঙ্গে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের টিম রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছে। যেখানে যেখানে মদ পাওয়া গেছে, সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এই অভিযানে ডিএনসির কোনো কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেনি।
‘আমরা যখন প্রয়োজন মনে করি, তখন অনেককে জানাই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারা স্পষ্ট বলা আছে, কারা অভিযান পরিচালনা করবে আর কারা করতে পারবে না। আর যেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হবে সেখানে পুলিশ অভিযান চালাতে পারবে। এখানে অনুমতির বিষয় নেই, কাউকে অবগত করার বাধ্যবাধকতা নেই।’