মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরিঘাটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন নিহতের ঘটনায় বিএনপির করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার মামলাটি খারিজ করে দেন।
আদালত পরিদর্শক জামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যার অভিযোগ এনে ৬ অক্টোবর পুলিশ ও সরকার দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নির্বাহী সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ।
মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ পুলিশের ৯ সদস্যের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ পুলিশ সদস্য এবং সরকার দলীয় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিন আদালতের বিচারক মামলার পরবর্তীতে আদেশের জন্য ১০ অক্টোবর ধার্য করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব বলেন, ‘এটা আদালতের এখতিয়ার। এ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান খান আল-মামুন মামলা খারিজ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিউ চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন।
তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে আসছেন স্বজন ও বিএনপি নেতারা। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, শাওনের মৃত্যু হয়েছে ইটের আঘাতে।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মাঈনউদ্দিন ও শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এতে বিএনপির দেড় সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।