ভোট দেয়ার গোপনীয়তা ভঙ্গ হলেই তাৎক্ষনিক ভোট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে অবস্থানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেয় ইসি। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা এ ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন ও ১৭ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা পরিষদে ভোট হবে। সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।
এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং তিন পদে সব মিলিয়ে ১১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধারই এ নির্বাচনের ভোটার।
ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেউ ভোটকক্ষে অবৈধভাবে অবস্থান করলে বা ভোটারের ভোট প্রদানে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিক ঐ কক্ষের ভোট নেয়া বন্ধ করতে হবে। অবৈধভাবে অবস্থানকারীকে ভোটকেন্দ্র হতে বের করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভোটকেন্দ্র থেকে অপসারণ করার পরই কেবল ভোটগ্রহণ পুনরায় শুরু করা যাবে।
সার্বিকভাবে ভোটগ্রহণের সময়ে যাতে ভোটারের গোপনীয়তা বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভোট চলাকালে ভোটকেন্দ্রের গোপনকক্ষে কোন ভোটার ব্যালট বা ইভিএমে ভোট দেয়ার সময় অন্য কেউ অবৈধভাবে অবস্থান করে যেন ভোট দেয়ার গোপনীয়তাকে বাধাগ্রস্থ না করেন, তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কেউ এসব নির্দেশনা পালন না করলে বা দায়িত্ব পালনে শিথিলতা দেখালে তার বিরুদ্ধে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইসি জানিয়েছে।