লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ির ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দলীয় কর্মীরা জানান, সম্মেলনের পতাকা উত্তোলনের পর অতিথিরা মঞ্চে ওঠেন। পরে মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাওহিদুল ইসলাম সুমন ও শাহেদ আলী মনু পাটওয়ারীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন এবং বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর হয়।
পরে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সুমন চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মনু পাটওয়ারী চর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আহতদের উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ হামলায় নিজেদের দায় অস্বীকার করেছেন দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাওহিদুল ইসলাম সুমন ও শাহেদ আলী মনু পাটওয়ারী।
তারা দাবি করেছেন, কে বা কারা এই হামলা বা মারামারিতে তা তারা জানেন না।
রামগতি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সম্মেলনে বসা নিয়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সমাবেশও চলছে। কোনো সমস্যা নেই।’
জেলা আওমী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন মাইকে ঘোষণা দেন, যেসব প্রার্থীর সমর্থকরা হট্টগোল করেছে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, সভাপতি পদে সাতজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সবশেষ ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর সম্মেলন হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৬ বছরে ১৩ বার এ শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। জেলা ও উপজেলা নেতাদের মতবিরোধসহ নানা কারণে তা অনুষ্ঠিত হয়নি।