দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর জন্য সোমবার খুলে দেয়া হয়েছে মধুমতী সেতু। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্ট ও নড়াইলের লোহাগড়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে যান চলাচল শুরু হলো সোমবার থেকে।
সোমবার দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুটির উদ্বোধনের পর শুরু হয় মধুমতীর দুই পাড়ের মানুষের উচ্ছ্বাস।
৬৯০ মিটার ও ২৭ দশমিক ১০ মিটার প্রস্তের সেতুটি ৬ লেনের। যার ৪টি দ্রুতগতির এবং দুইটিতে ধীর গতির যানবাহন চলাচল করবে।
সেতুর দুই পাশে ৪ দশমিক ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এর মধ্যে ৮টি আন্ডারপাস ও ১৪টি কালভার্ট রয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ৮ লেনবিশিষ্ট টোল প্লাজা। ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭০ দশমিক ২৮ একর। ফলে সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৯৫৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
তবে সেতুটিতে পারাপার হতে গেলে দিতে হবে টোল। মধুমতী সেতুর টোল প্লাজায় যানজট এড়াতে ৮ লেনের টোল কাউন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে টোলের হার।
সেতুতে কনটেইনার ও ভারী ট্রাক চলাচলে দিতে হবে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা।
কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টরে টোল দিতে হবে ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার পার হতে দিতে হবে ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রেন্ট-এ-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, অটো-টেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত ৩ চাকার যান পারাপারে টোল দিতে হবে ২৫ টাকা করে। মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেলে টোল দিতে হবে ৫ টাকা করে।