সিলেটে ১১ বছর আগে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সোহেল আহমদকে হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
এ মামলায় আরেক আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুজা আল ফারুক ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
রায়ে সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে এবং ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।মামলা থেকে জানা যায়, ইসলাম উদ্দিনের এক বোনকে বিয়ে করেছিলেন সিলেট নগরের গোটাটিকর এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ। ইসলাম এ বিয়ে মেনে নেননি। এ ক্ষোভ থেকে ইসলাম তার বন্ধু কাজলকে নিয়ে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে সোহেলকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বানাগাঁও এলাকার দালুয়ারবন্দ হাওরে নিয়ে যান।
সেখানে ইসলাম ও কাজল মিলে সোহেলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন। মাথা অন্য জায়গায় ফেলে দিয়ে মরদেহ পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। পরদিন পুলিশ সোহেলের মাথা হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
পরে সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলা করলে পুলিশ ইসলাম ও কাজলকে গ্রেপ্তার করে।
দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা জানান, ইসলাম তার বোনকে বন্ধু কাজলের কাছে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এ চাওয়া পূরণ না হওয়ায় দুজন মিলে সোহেলকে হত্যা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন আদালতে ইসলাম ও কাজলসহ নয়জনকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভুঞা দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর সাত আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
এ রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। ওই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রায় দিল।