নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত রুহুল আমিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত রুহুল আমিন সুকাশ ইউনিয়নের দশোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুইজনে।
এর আগে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব আলী গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই রাতেই মারা যান।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব আলীর সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে আফতাব গ্রুপের সমর্থকরা বামিহাল দশোপাড়ার গ্রামে ফরিদুল সমর্থক কুদ্দুসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
‘বাধা দিতে গেলে ফরিদুল সমর্থক রুহুল আমিনসহ তিনজন আহত হয়। পরে ফরিদুল সমর্থকরা আফতাব ও তার সমর্থক কালামের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক আফতার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আহতদের মধ্যে রুহুল আমিন, কালামসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে রুহুল আমিন মারা যায়। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো মামলা করেনি।