বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-চট্টগ্রামে বিদ্যুতের হাহাকারে ভালোই আছে চার বিভাগ

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৫০

বিদ্যুতের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে দেশে লোডশেডিং এখন এক হাজার মেগাওয়াটের মতো, যা চাহিদার ৮ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডভুক্ত জেলাগুলোতে এত বেশি লোডশেডিংয়ের একটি কারণ হতে পারে পশ্চিমাঞ্চল গ্রিডভুক্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি।

গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে যখন তখন লোডশেডিংয়ে তীব্র দুর্ভোগের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের চার বিভাগের পরিস্থিতি বেশ ভালো।

রাজশাহী, রংপুর এবং খুলনা বিভাগে পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। আর গত জুলাইয়ে সারা দেশে ঘটা করে লোডশেডিং শুরুর পরও উৎপাদনের দিক থেকে এগিয়ে থাকা রবিশাল বিভাগের পরিস্থিতি অতটা খারাপ ছিল না।

গত ৪ অক্টোবর দুপুরে হঠাৎ করে বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা। সেদিন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড ফেল করার পর ঘণ্টা আটেক সময় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় কাটায় দেশের কোটি কোটি মানুষ।

সেদিন রাত ১০টার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও পরদিন থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। বিপর্যয়ের আগে যেখানে দিনে এক বা দুইবার বিদ্যুৎ যাচ্ছিল, সেখানে এই সংখ্যাটি চার বা পাঁচ বা ছয়ে গিয়ে ঠেকছে। কখনও আধাঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টা, কখনও তার চেয়ে বেশি সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটছে সময়। এমনকি রাত আড়াইটা, সাড়ে তিনটা- এমন সময়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক পাখা। যাদের বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা করা নেই, তাদের ঘুম উধাও হয়ে যাচ্ছে লোডশেডিংয়ে।

তবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে শহর এলাকায় চাহিদার সমান সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বরিশাল বিভাগ নিজেদের চাহিদার কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে জাতীয় গ্রিডে।

আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ অভ্যন্তরীণ সংযোগ লাইন ট্রিপের কারণে জাতীয় গ্রিডে মঙ্গলবার বিপর্যয় ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিভাগের কোনো কোনো জেলার গ্রাহকরা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে একবারের জন্যও বিদ্যুৎ যায়নি। কোথাও এক ঘণ্টা কোথাও এর চেয়ে কিছু কমবেশি সময় বিদ্যুৎহীন থাকছে এলাকা।

বিদ্যুতের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে দেশে লোডশেডিং এখন এক হাজার মেগাওয়াটের মতো, যা চাহিদার ৮ শতাংশের মতো। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডভুক্ত জেলাগুলোতে এত বেশি লোডশেডিংয়ের একটি কারণ হতে পারে পশ্চিমাঞ্চল গ্রিডভুক্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি।

অবশ্য পাওয়ার সেলের পরিচালক (অপারেশনাল পারফরম্যান্স) মো. সাজিবুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই যে চারটি বিভাগে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম বা অন্য চার বিভাগে বেশি। দেশের সব জায়গায় সমহারে লোডশেডিং হচ্ছে, সেটাই আমরা জানি।’

উত্তরের শহরগুলোতে বিভাগে চাহিদার সমান সরবরাহ

ঠিক বিপরীত চিত্র রাজশাহী বিভাগে। গত সপ্তাহে এমনকি শুক্রবার বিভাগীয় শহরে বিদ্যুৎ গেছে যখন তখন। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক সরবরাহ।

রাজশাহী বিভাগে বিদ্যুতের যে চাহিদা তার সবটাই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ।

জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতি দিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার ঘোষণা দেয়ার আগে থেকেই রাজশাহীতে বিদ্যুৎ যাচ্ছিল দুই থেকে তিনবার। আর ঘোষণার পর কোনো সময়সীমা আর থাকেনি।

আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দুটি মাস তীব্র গরমে এই বিভাগের মানুষের জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতির দিকটিও সামনে আনতে থাকে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়া মানুষ। তবে সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে।

নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী জানান, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলে বেশ কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসেও বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চাহিদাও কমেছে ৩০ থেকে ৪০ মেগাওয়াট।

তিনি জানান, শনিবার রাত ১২টায় রাজশাহী বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৩৪০ মেগাওয়াট আর রোববার দুপুর ১২টায় চাহিদা ছিল ৩৬৯ মেগাওয়াট। চাহিদার সবটুকুই সরবরাহ পাওয়া গেছে। এ কারণে কোনো লোডশেডিং ছিল না। তবে কোথাও কোথায় রক্ষণাবেক্ষণ বা কারিগরি দুর্বলতায় ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ গেছে।

সর্ব উত্তরের রংপুর বিভাগের চিত্রও একই। নেসকোর এই বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম মণ্ডল বলেন, ‘শনিবার আমাদের প্রয়োজন ছিল ২৫৯ মেগাওয়াট, আমরা পুরোটাই পেয়েছি। রোববার সকাল ৮টা থেকে ২০৯ মেগাওয়াট প্রয়োজন ছিল, এখন পর্যন্ত তাই পাচ্ছি।’

রংপুর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার পাশেই হোটেল ব্যবসা করেন বাবু রায়। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের তেমন কোনো সমস্যা নেই। দিনে কখনো এক বা দুবার গেলে দ্রুত চলে আসে। ঠিক একই অবস্থা রাতেও। কোনো কোনো রাতে একবার গেলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফিরে আসে।’

নগরীর মাছুয়া টারী এলাকার বাসিন্দা নূর আলম বলেন, ‘এখন তেমন কোনো বিদ্যুতের সমস্যা নেই। আমাদের এই দিকে বিদ্যুৎ যায় না বলেই বলা চলে।’

একই কথা বলেন ধাপ কাকলী লেনের বাসিন্দা আজম আলী পারভেজ। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে তেমন কোনো সমস্যা নেই বিদ্যুতের।’

গ্রামের চিত্র ঢাকার মতোই

অবশ্য গ্রাম এলাকার পরিস্থিতি অতটা ভালো নয়। ঢাকা-চট্টগ্রামের শহরগুলোর মতো সেখানেও দিনে-রাতে চার থেকে পাঁচ বার বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলে।

গংগাচড়া মহিপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, ‘দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ যায়। রাতেও এমন অত্যাচার।’

ওই এলাকার বাসিন্দা সাজু মিয়া বলেন, ‘কাকে কই কস্টের কথা। যেমন করি বিদ্যুৎ যায় তাতে তো ফ্রিজ টিভি টিকপের নয়। কারেন্ট আসতে আসতে ফিরে যায়। যেভাবে কারেন্ট যায় আর আইসে তাতে গরমের দিন হলে খবর আছিল। একনা গরম কম হওয়ায় সহ্য করা যাওছে। নইলে খবর আছিল আমাদের।’

রংপুরের উত্তম চাঁদের হাট এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘কারেন্ট এই আছে এই নাই। সন্ধ্যায় তো ছৈলপৈল পড়তে পারে না। ধরেন, খাবার বসলাম অমনি কারেন্ট গেল। ওই যে গেল আর আসার নাম নাই। এমন করি চলোছে।’

পল্লী বিদ্যুতের জিএম, এজিএমসহ শীর্ষ অনেক কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার প্রভাব পড়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম কার্ড সেবায়ও। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত বরিশাল বিভাগ স্থানীয় চাহিদার চার গুণ জোগান দিচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

বরিশাল বিভাগের দিনে একবার করে লোডশেডিং হচ্ছে, তবে সেটি খুব বেশি সময়ের জন্য না।

বরিশাল নগরী ছাড়াও জেলার অন্যান্য এলাকা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলাতেও বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি নেই।

বিদ্যুতের বিতরণ সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান পলাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বরিশাল বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪৪০ মেগাওয়াটের মতো চাহিদা রয়েছে। এর চেয়ে চারগুণেরও বেশি উৎপাদন করে এখানকার পাঁচটি কেন্দ্র।’

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শেখর চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বরিশালে বিদ্যুতের যে উৎপাদন, তার চেয়ে চাহিদা অনেক কম। যে কারণে লোডশেডিং কম এই অঞ্চলে।’

বিভাগে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২ হাজার ৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে পায়রায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, ভোলায় গ্যাসভিত্তিক দুটি কেন্দ্রে ৪৫০ মেগাওয়াট, ফার্নেস ওয়েলভিত্তিক পটুয়াখালীর ইউনাইটেড পায়রায় ১৫০ মেগাওয়াট ও বরিশালের রূপাতলির সামিটের কেন্দ্রে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাকি ১ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

যে সংকটে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে, সে সমস্যা এই বিভাগে নেই। প্রধান কেন্দ্রটি কয়লাভিত্তিক আর ভোলার ক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হয় দুটি কেন্দ্রে। সেখানে ডিজেলের কোনো কেন্দ্রও নেই।

বরিশাল নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে তেমন লোডশেডিং নেই। হলেও দিনে ১৫ মিনিটের বেশি হয় না। নির্বিঘ্নেই বিদ্যুৎ পাচ্ছি।

ঝালকাঠির নলছিটির বিনয়কাঠি এলাকার বাসিন্দা জাকারিয়া আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো ঝামেলায় আমরা নেই আপাতত। দিনে দু-একবার লোডশেডিং হয়, কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার চলেও আসে। রাজধানীর তুলনায় আমরা ভালো আছি।’

এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ওজোপাডিকোর পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি জানান, জেলা সদরে ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে তেমন কোনো লোডশেডিং নেই।’

তেমন সমস্যা নেই খুলনায়ও

বরিশালের পাশাপাশি খুলনা বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে দেশের অনেক স্থানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলেও খুলনা বিভাগে কোনো সমস্যা হয়নি। বিভাগের অধিকাংশ জেলায় নিয়মিত এক ঘণ্টার লোডশেডিং রয়েছে।’

তবে কোথাও কোথাও লোডশেডিং এক ঘণ্টার কম, কোথাও এক ঘণ্টার বেশি।

খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙা থানাধীন বয়রা ক্রস রোড এলাকা বশির হোসেন বলেন, ‘আমার বাসায় প্রতিদিন দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।’

নগরীর সদর থানাধীন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা শান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমার বাসায় প্রতিদিন দুইবার লোডশেডিং হচ্ছে। একবার দিনে ও একবার রাতে। এতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিনা বিদ্যুতে থাকতে হচ্ছে।’

বাগেরহাটের পৌরসভা এলাকার নাগের বাজারের চন্দন সাহা বলেন, ‘আমাদের এখানে বর্তমানে তেমন কোনো লোডশেডিং নেই। কখনও বিদ্যুৎ গেলে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আমার চলে আসছে। আগে রেগুলার এক ঘণ্টা লোডশেডিং থাকত।’

যশোর সদর এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ আলী বলেন, ‘কোনো দিন এক ঘণ্টার বেশি, আবার কোনোদিন ১০ বা ২০ মিনিট। এটাতে বর্তমানে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না।’

মেহরপুরের বানন্দি এলাকার সুইট ফ্লাওয়ারের মালিক মতিউর রহমান বলেন, ‘গত ২ দিনে আমাদের এলাকায় এক সেকেন্ডের জন্যেও লোডশেডিং হয়নি। এটা একটা ভালো দিক।’

ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘দৈনিক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা থাকে সেই পরিমাণ পাওয়া যায় না। তার জন্য কোথাও কম বা বেশি সময় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে এটার পরিমাণ খুবই কম।’

ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, রোববার দক্ষিণের ২১ জেলায় দিনে বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ৫৫৫ মেগাওয়াট। রাতে ৫৩১। ফুল লোড পাওয়া যায়। ফলে সারা দিন কোনো লোডশেডিং হয়নি।

গত ৫ অক্টোবর থেকে এই ২১ জেলায় ফুল লোড পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানায় ওজোপাডিকো।

এ বিভাগের আরো খবর