বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘হামজা ব্রিগেডের’ ৭ বছর ধরে পলাতক সদস্য গ্রেপ্তার

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২২ ২১:১৮

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবছার জানিয়েছেন, বিদেশে অবস্থানের সময় দেশে থাকা পৃষ্ঠপোষকরা তাকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। দেশে ফেরার পর শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হামজা ব্রিগ্রেডকে আবারও সংগঠিত করতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে তৎপরতা শুরু করেছিলেন তিনি।

২০১৫ সালে মামলায় আসামি হওয়ার পর পালিয়ে চলে যান বিদেশে। সেখান থেকে ফিরে গত এক বছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে পালিয়ে বেড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ এর সক্রিয় সদস্য নুরুল আবছার ওরফে জঙ্গি হাওলাদারের।

রোববার তাকে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার।

গ্রেপ্তার নুরুল আবছার সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আক্কাছ আলী হাওলাদারের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানায় দুটি মামলা করা হয়। ওই মামলা দুটিতে ইতোমধ্যেই নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে এবং আদালত থেকে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।

গ্রেপ্তার নুরুল আফছার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সন্দেহভাজন কর্মকাণ্ডের দায়ে ফৌজদারি আইনের ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১ মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হন তিনি।

পরবর্তীতে শীর্ষস্থানীয় এক জঙ্গি নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংগঠিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন।

এই গোষ্ঠী সম্পর্কে জানা যায়, ২০১৩ সালে একটি রাষ্ট্রবিরোধী স্বার্থেন্বেষী মহল হেফাজত আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের প্ররোচিত করে রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গি কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করে। এই গোষ্ঠী পরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন গহীন পাহাড়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং হাটহাজারীতে অবস্থিত মাদ্রাসাতু আবু বক্কর (রা.) এ রিক্রুট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে।

গ্রেপ্তার হওয়া নুরুল আবছার মূলত ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম, অর্থায়নের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন সদস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা এবং তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনা নেয়ার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রশিক্ষণ ও অর্থ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন পাঠাতেন।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাটহাজারি ও বাঁশখালীতে তাদের গোপন আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আবছার তখন ঢাকায় অবস্থান করায় তাকে এবং কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী একটি দেশে আত্মগোপনে চলে যান আবছার এবং সেখান থেকে শীর্ষস্থানীয় এক নেতার পরামর্শে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে পালিয়ে যান।

দীর্ঘ ৬ বছর বিদেশে অবস্থান করার পর বছরখানেক আগে দেশে ফিরে ঢাকায় আত্মগোপন করেন তিনি। ততদিনে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবছার আরও জানান, বিদেশে অবস্থানের সময় দেশে থাকা পৃষ্ঠপোষকরা তাকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। দেশে ফেরার পর শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হামজা ব্রিগ্রেডকে আবারও সংগঠিত করতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে তৎপরতা শুরু করেছিলেন তিনি। এ জন্যই কিছুদিন ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন।

র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘রোববার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর