কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে কমির্সভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ছুড়ে মারা চেয়ারের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু আহত হয়েছেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের কমির্সভায় এ ঘটনা ঘটে।
নেতাকর্মীরা জানান, সভা চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী রাজা কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গোলাম হোসেন মন্টুকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারেন।
চেয়ারটি তার বুকে লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উলিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও গ্রুপিং থাকবে কিন্তু পেশি শক্তির ব্যবহার নিন্দনীয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
হামলার ঘটনা নিয়ে আজহার বলেন, ‘দীর্ঘদিন উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি না থাকায় একক কর্তৃত্বে দল পরিচালনা করেন গোলাম হোসেন মন্টু। সেই সুযোগে তিনি বিএনপি-জামায়াত ও হাইব্রিডদের নিয়ে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেন।’
তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু কাউন্সিলের আগে ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটিগুলো পুনর্গঠনে নির্দেশ দেন। সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলের তারিখ এনে পকেট কমিটি দিয়ে নিজে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে গোলাম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে উভয়ের মধ্যে চেয়ার ছোড়ার ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, ‘সামনে দলের কাউন্সিল। তা বানচাল করতে একটি পক্ষ আমার ওপর পেশি শক্তি প্রয়োগ করেছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেবো।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহীদুল্লাহ লিংকন জানান, রোগীকে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাকে ভর্তি করার পর দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বুকে আঘাত পেয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ আছেন।