বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্বিগুণ মুনাফার ফাঁদে পড়ে গেল পুরো টাকা

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪১

‘গ্রাহকদের প্রতি লাখে এক হাজার ৫০০ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখায়। গ্রাহকরা টাকা জমা রাখার পর কয়েক মাস লভ্যাংশ দেয়। এক হাজার ১০০ গ্রাহকদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে তারা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়।’

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের সুদহারের দ্বিগুণের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহককে ফাঁদে ফেলত রাজধানীর কাফরুল এলাকায় আহমেদিয়া ফাইন্যান্স আ্যান্ড কমার্স বা এমসিএস লিমিটেড।

বাংলাদেশ ব্যাংক এই নামে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দিলেও খোদ রাজধানীতে কয়েক বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়েছে তারা। এক হাজার এক শ গ্রাহকের কাছ থেকে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আহমেদিয়া ফাইন্যান্স আ্যান্ড কমার্স এমসিএস লিমিটেডের এমডি মনির আহম্মেদ ও তার সহযোগী সাইফুল ইসলাম।

শনিবার রাতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম।

রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের প্রতি লাখে এক হাজার ৫০০ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখায়। গ্রাহকরা টাকা জমা রাখার পর কয়েক মাস লভ্যাংশ দেয়। এক হাজার ১০০ গ্রাহকদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে তারা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়।’

বর্তমানে ব্যাংকে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এক লাখ টাকায় মাসে পাওয়া যায় ৫০০ টাকা। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কিছুটা বেশি হলেও সেখানে বিনিয়োগে নানা শর্তের কারণে সবাই সেখানে যেতে পারে না। এই সুযোগটিই নিয়েছে এমসিএস লিমিটেড।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন জানান, দ্বিগুণের বেশি মুনাফার লোক দেখিয়ে গ্রাহকদের জমা করা টাকা আহমেদিয়া অ্যাপার্টমেন্ট অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং ইউরোস্টার হোম অ্যাপ্লায়েন্স নামে দুটি কোম্পানিতে সরিয়ে নেয়া হয়।

তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা হয়। এরপর গুলশান থেকে এই চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুই জনকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে শতাধিক গ্রাহক গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন৷ তাদের একজন জলিল পেশায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, দুই দফায় তিনি দেড় লাখ টাকা সঞ্চয় রেখেছিলেন। মেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর টাকা চাইতে গিয়ে পেয়েছেন হুমকি-ধামকি।

তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা মেয়ে অসুস্থ, তাদের চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। উপায় না পেয়ে তাদের কাছে মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিলাম হাতে-পায়ে ধরে তবুও তাদের মন গলে নাই। চিকিৎসার অভাবে আমার একটা মেয়ে মারাই গেছে।’

কাফরুল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রতারণার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর