অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে খুনের ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব।
বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের দাবি, প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতে চক্রটি ওই দুই নারীকে ব্যবহার করত।
র্যাব-১২ এর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার দুই নারীর বাড়ি শাজাহানপুরের গণ্ডগ্রাম ও নন্দীগ্রামে। অন্য দুজন হলেন শাজাহানপুরের লতিফপুরের তাইজুল ইসলাম ও গাবতলী কালাইহাটার আব্দুর রাজ্জাক।
তৌহিদুল মবিন খান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এক নারীকে শহরের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের দাবি, সাবেক সেনা সদস্য জাকিরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এক নারী কৈগাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বাড়িতে গ্রেপ্তার আরেক নারীরও ছিলেন। জাকির বাড়িতে প্রবেশ করলে প্রতারক চক্রটির আট থেকে দশ জন তাকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। এদের মধ্যে তাইজুল, আব্দুর রাজ্জাকও ছিলেন।
র্যাব কমান্ডার বলেন, ‘এ চক্রের হোতাদের একজন আব্দুর রাজ্জাক। চক্রটি তাদের নারী দসদ্যদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে টার্গেট করতেন।’
এর আগে গত শুক্রবার রাতে সাবেক সেনা সদস্য জাকির হোসেনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের পর ওই রাতেই চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
স্বামীকে হত্যার ঘটনায় গত শনিবার শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন জাকির হোসেনের স্ত্রী। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কৈগাড়ী ফাঁড়ির এসআই হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের কাছে তারা অপরাধ স্বীকার করেছেন।’
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, জাকিরকে প্রতারক চক্রটি আটক করে নগদ ২ হাজার ৩০০ ও বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়।
একপর্যায়ে জাকির দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া আশরাফুল তাকে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।