নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে রোববার সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন অটোরিকশার চালক হানিফ, যাত্রী মামুন ও ব্যবসায়ী নুরু উদ্দিন। নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত জামাল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
পুলিশ জানায়, সকালে মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকা থেকে মদনপুরের দিকে যেতে যাত্রী নিয়ে রওনা হয় অটোরিকশাটি। পথে ঢাকামুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাচালকসহ ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অন্যদের সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় হাসপাতালে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বেলা পৌনে ১১টার দিকে আহত পাঁচজনকে আনা হলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান। তাদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আহত জামাল চিকিৎসা চলাকালে মারা গেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের আল বারাকা হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে নুরুউদ্দিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি জানান, অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসটি থানায় আনা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাসের চালক পালিয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় সড়ক আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
নিহত মামুনের ছোট ভাই নাইমুল ইসলাম সুমন জানান, স্থানীয় একটি গার্মেন্টসের লাইন চিফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন মামুন। সকালে কাঁচপুরে ছোট ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
অন্যদের স্বজনরা খবর পেয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছেন।